১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

জাতীয় পার্টি ও জেপির নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ১১৯ আসনে ১৩১ জন প্রার্থীর ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনের বলরুমে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন।
ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টি ও ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৫), আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ফিরোজপুর-২), এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার (পটুয়াখালী-১), অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ (ঢাকা-১০), অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু (কিশোরগঞ্জ-৩), জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম (মাদারীপুর-৩), জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন (মানিকগঞ্জ-২), সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর (ফরিদপুর-২), নাসরিন জাহান রতনা (বরিশাল-৬), শফিকুল ইসলাম সেন্টু (ঢাকা-১৩), লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়নগঞ্জ-৩), জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল-৭), মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর-২), সৈয়দ দিদার বখত (সাতক্ষিরা-১), ফকরুল ইমাম (ময়মনসিংহ-৮), জিয়াউল হক মৃধা (ব্রাহ্মনবাড়িয়া-২) ও জাতীয় ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের অহেদ ফারুক (নোয়াখালী-১)।
এছাড়াও ঢাকা-১৭ আসনে প্রয়াত জহির রায়হানের ছেলে তপু রায়হান, একই আসনে তৃণমূল বিএনপির মেজর অব. ডাক্তার শেখ হাবিবুর রহমান ও শেরপুর-১ আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের চেয়ারম্যান আবু লায়েস মুন্নাকে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ঘোষিত জাতীয় পার্টির অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, নুরুল ইসলাম মিলন (কুমিল্লা-৮), নুরুল ইসলাম ওমর (বগুড়া-৬), ইয়াহ ইয়া চৌধুরী (সিলেট-২), মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল (নীলফামারী-৩), পনির উদ্দিন আহম্মেদ (কুড়িগ্রাম-২), নাজমা আক্তার (ফেনী-১), সিরাজুল ইসলাম চৌধরী (চট্টগ্রাম-১২), মো. নজরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-৭), অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম চাকলাদার (টাঙ্গাইল-৫), ইঞ্জিনিয়ার মামুন অর রশীদ (জামালপুর-৪), সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম-৯), তপু রায়হান (ঢাকা-১৭), মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া (নেত্রকোনা-৩), সরদার শাহজাহান (পাবনা-১), মোবাবর হোসেন আজাদ (নোয়াখালী-৪), ফকরুল আহসান শাহজাদা (বরিশাল-৩), মো. বেলাল হোসেন (লক্ষীপুর-১), আমানত হোসেন আমানত (ঢাকা-১৬), জাহাঙ্গীর আলম পাঠান (ঢাকা-১৪), শাহ জামাল রানা (ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩), মাতলুব হোসেন লিয়ন (সাতক্ষীরা-২), মো. ইলিয়াস উদ্দিন (শেরপুর-১), মো. আবু সালেক (পঞ্চগড়-১), অ্যাডভোকেট সেরনিয়াবাদ সেকান্দার আলী (বরিশাল-১), মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী (ঠাকুরগাঁও-১), রাশেদুল ইসলাম (নীলফামরী-৪), নিগার সুলতানা রানী (লালমনিরহাট-২), আব্দুস সাালাম (রংপুর-৪), শফিকুল ইসলাম বাদশাহ মিয়া (গাইবান্ধা-১), আওলাদ হোসেন (জয়পুরহাট-১), বরুন সরকার (রাজশাহী-১), অধ্যাপক কামরুজ্জামান (রাজশাহী-৩), আসাদুজ্জামান (রাজশাজী-৫), মো. ইকবাল হোসেন (রাজশাহী-৬), আব্দুর রাজ্জাক (সিরাজগঞ্জ-৩), এস এম হামেস রাজু (সিরাজগঞ্জ-৪), তরিকুল ইসলাম স্বাধীন (পাবনা-৬), সাজ্জাদ হোসেন সেনা (কুষ্টিয়া-৪), মো. শফিকুল ইসলাম (যশোর-৩), আব্দুল লতিফ রানা (যশোর-৬), সুমন ঘো্ষ (মাগুরা-১), আলমগীর সিকদার (মাগুরা-২), এস এম আল যোবায়ের (বাগেরহাট-১), মাইনুল হাসান রাসেল (বরগুনা-১), মো. মহসিন হাওলাদার (পটুয়াখালী-২), মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (পটুয়াখালী-৪), গাজী সোহেব কবির (বরিশাল-৪), এম এ কুদ্দুস খান (ঝালকাাঠি-২), ডা. সেলিমা খান (ঝালকাঠি-১), সেকান্দার আলী মুকুল বাদশা (পিরোজপুর-৩), মো. আব্দুল হালিম (টাঙ্গাইল-৩), মো. রেজাউল করীম (টাঙ্গাইল-৮), ইদি আমিন এপোলো (ঢাকা-৯), এস এম আমিনুল হক সেলিম (ঢাকা-১১), হাজী নাসির উদ্দিন সরকার (ঢাকা-১২), অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ (শরিয়তপুর-১), ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ (শরিয়তপুর-২), ম. ম ওয়াসিম (শরিয়তপুর-৩), মোখলেসুর রহমান বস্তু (জামালপুর-৪), মো. ইলিয়াস উদ্দিন (শেরপুর-১), জাহাঙ্গির আহমেদ (ময়মনসিংহ-৪), মো. আলমগীর হোসেন (কুমিল্লা-৩), এইচ এম এন শফিকুর রহামন (কুমিল্লা-১১), জাফর আহমেদ রাজু (ফেনী-২), ফজলে এলাহি সোহাগ মিয়া (নোয়াখালী-৩), মো. শামসুল আলম (কক্সবাজার-১), অ্যাডভোকেট মো. তারেক (কক্সবাজার-৩), মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (নোয়াখালী-৫), অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বায়জিদ (নোয়াখালী-৬), শেখ মোহা্. ফায়িজ উল্লাহ স্বপন (লক্ষীপুর-২), জহিরুল ইসলাম রেজা (চট্টগ্রাম-২), এম এ সালাম (চট্টগ্রাম-৩), মো. নজরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-৭), এম এ মঞ্জুর মাষ্টার (কক্সবাজার-৪) ও শেখ মোহাম্মদ আলী (ঢাকা-১৮)।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শেখ শহিদুল ইসলাম ছাড়াও জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থীরা হলেন, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ (কক্সবাজার), মো. রুহুল আমিন (কুড়িগ্রাম-৪), মাহিন হোসেন (ঝালকাঠী-২), অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল (ঝালকাঠী-১), জনতা পার্টি বাংলাদেশের মো. আসাদুজ্জামান (ঠাকুরগাঁও-৩), শওকত মাহমুদ (কুমিল্লা-৫), অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ (শেরপুর-১), জাতীয় ইসলামী মহাজোটের গোলাম মোর্শেদ রনি (নারায়নগঞ্জ-৪), তৃর্নমূল বিএনপির কেএম জাহাঙ্গীর (ঝিনাইদাহ-২), দীপক কুমার পালিত (চট্টগ্রাম-৯), টি এম জহিরুল হক তুহিন (বরিশাল-৬), ইঞ্জি. শেখ শাহীন রহমান (খুলনা-৪), লায়ন আফরোজা বেগম (ঢাকা-১৮), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাহ জামিল আমিরুল (মেহেরপুর-২), বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির মির্জা আজম (খুলনা-১), প্রফেসার হুমায়ুন কবির (কুমিল্লা-৫), ডাক্তার মুনির হোসেন (চাঁদপুর-৩), আলহাজ্ব শরীফ শাকি (ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩), এ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেটিক পার্টির এম আর করিম (টাঙ্গাইল-২), মো. সেলিম রেজা (নওগাঁ-৫), ডেমোক্রেটিক পার্টির এস এম আশিক বিল্লাহ (নড়াইল-১), এস এম খায়রুজ্জামান (ঢাকা-১৫) ও আতাউর রহমান বিল্লাহ (গাইবান্ধা-৪)।
এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছে— নাগরিক পার্টির লস্কর হারুন অর রশীদ (ঢাকা-১০), গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এ আর এম জাফর উল্লাহ চৌধুরী (ঝালকাঠী-২), লিবারেল গ্রীন পার্টির খোকন চন্দ্র মজুমদার (ফেনী-৩), জাতীয় জোটের সরদার মোহাম্মদ আব্দুস সত্তার (নওগাঁ-৬), মো. সিরাজুল ইসলাম (হবিগঞ্জ-৪), মো. মোস্তফা কামাল বাদল (টাঙ্গাইল-৮), বাংলাদেশ জাতীয় দলের মো. জামাল হোসাইন (বরগুনা-১), বিলকিস সুলতানা (চট্টগ্রাম-১০), জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মো. মিজানুর রহমান মিজু (ঝিনাইদাহ-২), জয় প্রকাশ নারায়ন রক্ষিত (চট্টগ্রাম-১৩), জাসদ শাহজাহান সিরাজের মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস (মানিকগঞ্জ-৩), বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল (বরিশাল-৪) ও সার্বজনীন দলের নূর মো. মনির (শরিয়তপুর-১) আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন।
যে সব আসনে দুজন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে
ঢাকা-১০, বরিশাল-৬, ঢাকা-১৭, চট্টগ্রাম-৯, শেরপুর-১, শরীয়তপুর-১, ঢাকা-১৮, বরগুনা-১, বরিশাল-৪, ঝালকাঠি-২ ও টাঙ্গাইল-৮।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সারা দেশে মব সন্ত্রাস চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, রাজনৈতিক নেতা ও দেশ বরেন্য সাংবাদিক কেউ মবের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ, নূরুল কবীরের মতো বরেণ্য সাংবাদিককে নাজেহাল, ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মেরে তাঁর মরদেহ জ্বালিয়ে দেওয়া, লক্ষ্মীপুর বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে তার শিশুকন্যাকে হত্যা, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও ছায়ানটে ভাঙচুর হামলা, উদীচী, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় সরকারি হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার অপচেষ্টা, খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রকম নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
হাওলাদার বলেন, ‘দেশ এখন অনিরাপদ ও অগ্নিগর্ভ। সাথে চলছে ভয়াবহ মব সন্ত্রাস। এ অবস্থায় সরকার কীভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবে, তা আমাদের জানা নেই।’
আমার বার্তা/এমই
