বাংলাদেশ-বাহরাইনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ১৩:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ-বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৩তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।

মানামার স্থানীয় সময় সোমবার (৩ জুন) বাহরাইনের দ্য ডিপ্লোম্যাট রেডিসন হোটেলে বাংলাদেশ-বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাহরাইন কাউন্সিল অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার আহমেদ বিন সালমান আল-মুসালাম, বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ড. শেখ আব্দুলাহ বিন আহমেদ বিন আব্দুল্লাহ আল খালিফা, নর্দান গভর্নর আলী বিন আল শেখ আব্দুল হুসাইন আল-আসফুর ও জনপ্রশাসন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাইখা রানা বিনতে ঈসা বিন দাইজ আল খালিফা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও বাংলাদেশ-বাহরাইনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাহরাইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যৌথভাবে স্মারক লোগো উন্মোচন ও বিশেষ প্রকাশনা এবং কেক কাটা।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েস স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শাহাদত বরণ করেছেন সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বিশেষভাবে বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খালিফা এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী শেখ সালমান বিন হামাদ আল খালিফার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম বাহরাইনের সর্বোপরি সহযোগিতার কামনা করেন এবং একইভাবে বাহরাইনের অর্থনৈতিক ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়িত করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সাথে দুটি দেশেরই জন্ম হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর দুই দেশের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সার্বিক কল্যাণকর কাজ আরও সুসংহত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আমার বার্তা/জেএইচ