ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোকে নিষিদ্ধ করছে ডেনমার্ক

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১৬:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। পবিত্র কোরআন অবমাননার কয়েকটি ঘটনার পর স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশটির বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোতে ক্ষোভ সৃষ্টি অবশ্য কেবল পবিত্র কোরআন নয়, যেকোনো ধর্মগ্রন্থের প্রতি অবমাননাকর আচরণ করলেই দোষীদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। 

ডেনমার্কের বিচারমন্ত্রী পিটার হামেলগার্ড জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়িই সে দেশে এই আইনের খসড়া পেশ হতে চলেছে। কয়েক দিন আগেই কোরআন পোড়ানো নিয়ে উত্তাল হয়েছিল ডেনমার্কের প্রতিবেশী দেশ সুইডেন। তার প্রভাব পড়েছিল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও।

ডেনমার্কের বিচারমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার বলেন, কোরআন পোড়ানো 'মৌলিকভাবে ঘৃণ্য এবং অসহানুভূতিমূলক কাজ। আর এটা ডেনমার্ক এবং এর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর।'

তিনি বলেন, ডেনমার্কের দণ্ডবিধির অধ্যায় ১২-এ নতুন বিধানটি যোগ করা হবে। এই অধ্যায়টি জাতীয় স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট।

তিনি বলেন, কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করার আইন করার হচ্ছে মূলত জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে।

ডেনমার্কের সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার জানানো হয়, কোরআনসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোকে বেআইনি ঘোষণা করা হবে। যদি ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কোরআনের পাশাপাশি বাইবেল, তাওরাতের মতো ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর বিরুদ্ধেই আইন পেশ করবে ডেনমার্কের সরকার। বিচারমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেকোনো ধর্মের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থকেই এই আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, কোরআন পোড়ানোকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন আগেই উত্তাল হয়ে পড়েছিল আন্তর্জাতিক রাজনীতি। জুন মাসে ঈদের দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরআন পুড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান সাঁইত্রিশ বছর বয়সী ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা। শহরটির সবচেয়ে বড় মসজিদের সামনে ধর্মগ্রন্থটিকে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। খণ্ডিত পৃষ্ঠাগুলোকে মাড়িয়েও দেন তিনি। 

স্থানীয় পুলিশ জানায়, বাকস্বাধীনতার নীতি মেনেই মোমিকার প্রতিবাদী কর্মসূচিকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই সুইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় বিভিন্ন দেশে।

অন্যদিকে, কোরআন পোড়ানোর খবর পেয়ে ইরাকে অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সুইডেনের সরকারও। সেই ঘটনার কয়েক দিন পরেই সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাকের প্রশাসন। অবিলম্বে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আরো বেশ কয়েকটি দেশও সুইডেনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। সূত্র : আরব নিউজ এবং অন্যান্য

এবি/ জেডআর