রমজানের রোজা সম্পর্কে যে তিনটি বিষয় জেনে রাখতে পারেন
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

রমজান মাসে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। তাকওয়া অর্জনের জন্য আল্লাহ তায়ালা রোজা বিধান দিয়েছেন। রোজা রাখার জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার বিষয়টি সহজ। শিশু বৃদ্ধের জন্য তুলনামূলক কঠিন। এখানে পবিত্র রমজান মাস সম্পর্কিত চারটি প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হলো—
শিশু, বৃদ্ধদেরও কি রোজা রাখতে হবে?
রোজার বিধান প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। শিশু, অতি বৃদ্ধ, গর্ভবতী এবং সন্তানকে দুধ পান করান এমন নারীদের জন্য রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। এই মানুষদের পাশাপাশি যারা সফর, ভ্রমণে বের হন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদের জন্য রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। শিশু ছাড়া বাকিদের রমজানের পরে অন্য সময়ে এই রোজার কাজা করতে হবে।
তবে শিশুদের ওপর রোজা ফরজ না হলেও অনেক সময় শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হতে রমজান মাসে আংশিক রোজা রাখেন।
রোজা রেখে ভুলে পানাহার করে ফেললে করণীয় কী?
রোজা রেখে কেউ ভুলে পানাহার করলে তার রোজা ভাঙবে না। এরপর রোজা না ভেঙ্গে পুরো দিন রোজা রাখতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন সামনে আর এমন ভুল না হয়।
আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙলে অথবা পানাহার করলে তাকে পরবর্তীতে এই রোজার কাজা আদায় করে নিতে হবে এবং ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙ্গার কারণে কাফফারাও দিতে হবে।
রমজানের দিনগুলোতে পানাহার না করেও কীভাবে স্বাভাবিক থাকেন মুসলমানরা?
রমজানে রোজা রাখার জন্য মুসলমানেরা রাতের শেষ প্রহরে সুবহে সাদিকের আগে সেহরিতে খাবার গ্রহণ করেন এবং সূর্যাস্তের সময় ইফতার গ্রহণ করেন। তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখার চেষ্টা করেন। এটি তাদের শারীরিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি তারা শারীরিক শক্তি ক্ষয় হয় এমন কাজ এড়িয়ে চলেন।
আমার বার্তা/এমই