সাহরি খাওয়ার কতক্ষণ পরে ফজর নামাজ পড়তেন মহানবী (সা.)
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

তাকওয়ার অর্জনের মাস রমজান। পবিত্র কোরআনে রমজানের রোজা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হও। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
রমজানের রোজা সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত তালহা ইবনু উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত—
এলোমেলো চুলসহ একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। তারপর বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে বলুন, আল্লাহ তায়ালা আমার উপর কত সালাত ফরজ করেছেন? তিনি বলেন, পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাত; তবে তুমি যদি কিছু নফল আদায় কর তা স্বতন্ত্র কথা।
এরপর তিনি বললেন, বলুন, আমার উপর কত সিয়াম আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমজান মাসের সাওম; তবে তুমি যদি কিছু নফল কর তবে তা স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আল্লাহ আমার উপর কী পরিমান জাকাত ফরজ করেছেন? রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইসলামের বিধান জানিয়ে দিলেন।
এরপর তিনি বললেন, ওই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আল্লাহ আমার উপর যা ফরজ করেছেন, আমি এর মাঝে কিছু বাড়াব না এবং কমাবও না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল কিংবা বলেছেন, সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৭৭১)
রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো শেষ রাতের সাহরি। সাহরি খাওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ সাহরিতে বরকত আছে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩)
সাহরির শেষেই ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। তাই সাহরির শেষে ফজর নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। সাহরি শেষে ফজর আদায় করতে অনেকেই দেরি করেন, কেউ আবার তাৎক্ষণিক ফজর নামাজ পড়ে নেন। সাহরির কতোক্ষণ পর ফজর নামাজ আদায় করতে হবে এ বিষয়ে রাসূল সা,-এর বর্ণিত একটি হাদিস মানদন্ড হতে পারে। যেখানে যায়দ ইবনু সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাহরি খাই এরপর তিনি সালাত -এর জন্য দাঁড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা জিজ্ঞেসা করলাম আজান ও সাহরির মাঝে কতটিকু ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমাণ। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৮০০)
আমার বার্তা/জেএইচ