মেয়েদের চুল কালার করলে কি নামাজ হবে?

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

প্রশ্ন: মেয়েদের চুল কালার করলে কি নামাজ হবে?

উত্তর: মেয়েরা যদি চুলে এমন কালার ব্যবহার করে যা চুলের ওপর পৃথক কোনো প্রলেপ তৈরি করে না, বরং চুলের সাথে মিশে যায়, তাহলে চুলে কালার করা অবস্থায়ও তার অজু ও ফরজ গোসল হবে এবং নামাজও শুদ্ধ হবে। আর যদি চুলে এমন কালার ব্যবহার করা হয় যা চুলের ওপর পৃথক প্রলেপ তৈরি করে, তাহলে চুলে পানি না পৌঁছার কারণে তার অজু ও গোসল হবে না। যেহেতু অজুর সময় মাথা মাসাহ করা ফরজ, গোসলের সময়ও পুরো শরীরসহ চুল ধৌত করা ফরজ। অজু-গোসল না হওয়ায় তার নামাজও হবে না।

মেয়েদের চুল কালার করার বিধান

ইসলামে সাজসজ্জার অংশ হিসেবে মেয়েদের জন্য চুলে কালো ছাড়া অন্যান্য কালার ব্যবহার করা জায়েজ। চুলে মেহেদি ব্যবহার করা জায়েজ ও উত্তম, এ ছাড়া অন্যান্য আর্টিফিশিয়াল কালার ব্যবহার করাও জায়েজ যদি তাতে স্বাস্থ্যগত কোনো ক্ষতি না থাকে। অভিজ্ঞ ডাক্তাররা যদি কোনো ধরনের কালার চুল বা শরীরের জন্য ক্ষতিকর ঘোষণা করেন, তাহলে ওই ধরনের কালার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ইসলামে অন্যের ক্ষতি করা যেমন নিষিদ্ধ, নিজের ক্ষতি করাও নিষিদ্ধ।

চুলে কালো কালার ব্যবহার করা কি জায়েজ?

বয়সের কারণে চুল-দাড়ি পেকে গেলে কালো কালার ব্যবহার করে বয়স গোপন করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, মক্কা বিজয়ের দিন আবু বকরের (রা.) বাবা আবু কুহাফাকে নিয়ে আসা হলে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, তার চুল কোনো রং ব্যবহার করে পরিবর্তন করে দাও, তবে কালো রং ব্যবহার করো না। (সহিহ মুসলিম: ২১০২)

তবে কারো যদি অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে বয়স হওয়ার আগেই চুল পেকে যায়, তাহলে তার জন্য কালো রং ব্যবহার করা জায়েজ।