উন্নয়নবঞ্চিত বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মানে অগ্রাধিকার দেয় হবে: প্রধান প্রকৌশলী
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৪:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
অনক আলী হোসেন শাহিদী:

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকৌমলী মো. আলতাফ হোসেন বলেছেন- “সবার জন্যে সমান শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সুযোগ পৌছে দেয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে উন্নয়ন বঞ্চিত বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশেষ করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা স্বীকৃতি ও এমপিও ভূক্তির পরেও বিদ্যালয়ে সরকারী অর্থে নতুন ভবন নির্মিত হয়নি- এমন প্রতিষ্ঠানকে সর্ব প্রথম অগ্রাধিকার দেয়া হবে”- অতি সম্প্রতি দৈনিক আমার বার্তার এই প্রতিনিধিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব নেয়ার পরে প্রতিষ্ঠানটির চলমান সকল প্রকল্পের উন্নয়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করে চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে দেশব্যাপী বিশেষ ভূমিকা পালন অব্যাহত রেখে আসছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সাধারনত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মানের পরিকল্পনা, ডিজাইনিং, পরীক্ষন ও উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে। একই সাথে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নতুন নির্মান, পূনঃ নির্মান মেরামত ও সংস্কার ও আসবাবপত্র সরবরাহ করে। তিনি আরো বলেন- "শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে প্রতিষ্ঠান সমূহের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এ ছাড়াও অন্য্যন্য মন্ত্রনালয় ও সংস্থার উন্নয়ন কাজ দেয়া হলে তা বাস্তবায়ন করে থাকে। এক দল বিভিন্ন পর্যায়ের দক্ষ প্রকৌশলী এ উন্নয়ন কাজে তাকে সহায়তা করেন।
প্রধান প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন- এই প্রতিনিধিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন- তার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ চৌধুরী রফিকুল আবরার এর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সম্মানিত সচিবদ্ধয় তাকে সার্বক্ষনিক ইতিবাচক নির্দেশনা প্রদান করছেন- যার ফলে কাজের চলমান অগ্রগতি অব্যাহত আছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ইতিহাস পর্যালোচনা করে প্রধান প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন বলেন "স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত, সংস্কার এবং নতুন নতুন ভবন নির্মাণের জন্যে ডিপিআই (ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারী এডুকেশন) এর অধীনে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট নামে একটি প্রকৌশল ইউনিট গঠিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত ইউনিটকে ২০০২ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) নামে পূনাঙ্গ প্রকৌশল বিভাগে রূপান্তরিত করা হয়।"
তিনি বলেন- "জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে- একটি নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদের গড়ার প্রত্যায় এবং দেশের সকল মানুষকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে এ অধিদপ্তর কাজ করছে। বিশেষ করে- সফলতার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন-" শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর - শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মান, বিদ্যামান ভবনগুলোর সম্প্রসারন ও রক্ষনাবেক্ষন, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।"
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যুগোপোযোগেী মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আই সিটি সুবিধাসহ ভবন নির্মান করে যাচ্ছে।"
পরিশেষে তিনি বলেন- "একজন প্রকৌশলী হিসেবে সবার জন্যে মানসম্মত ও যুগোপযোগী শ্রেনীকক্ষ নির্মান এবং সুশিক্ষিত, দক্ষ ও উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন মানব সম্পদ সৃষ্টি করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে শিক্ষ প্রকৌশল অধিদপ্তরের সকল প্রকৌশলী, কর্মকর্তা কর্মচারীগনের আস্থা ও সহায়তা অর্জনে তিনি সার্বক্ষনিক কাজ করতে চেষ্টা করছেন।
আমার বার্তা/অনক আলী হোসেন শাহিদী/এমই