মিরপুর শাহ্ আলী মাজারে প্রশাসনের সামনেই চকলেটের মতন বিক্রি হচ্ছে গাঁজা!
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
আনিছ মাহমুদ লিমন:

মিরপুর শাহ আলী মাজারের হযরত শাহ আলী বোগদাদী ছিলেন বাগদাদ থেকে আগত একজন সুফি সাধক, যিনি আনুমানিক ১৪১৪ সালের দিকে বাংলাদেশে ধর্ম প্রচার করতে আসেন। তাঁর সম্মানার্থে মিরপুর-১ নম্বর স্থানে এই মাজারটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাঁর নামানুসারেই মিরপুর এলাকার নামকরণ হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।
হযরত শাহ আলী বোগদাদী ছিলেন তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে ধর্ম প্রচার করতে আসা একজন উল্লেখযোগ্য সুফি ব্যক্তিত্ব।
তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে এতদাঞ্চলে আসেন এবং সুফিবাদ প্রচার করেন। তিনি ১৪৮০ সালে (১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দ) মিরপুরে মারা যান এবং সেখানেই তাঁর সমাধি অবস্থিত।
অনেকে মনে করেন, হযরত শাহ আলী বোগদাদীর মাজারকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছিল এবং একসময় এর নাম "শাহ আলী পুর" ছিল, যা পরবর্তীতে মিরপুর নামে পরিচিতি লাভ করে।
তাঁর মাজারটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে পূণ্য অর্জনের জন্য সমবেত হয়।
রাজধানীর মিরপুর এক নাম্বার শাহ্ আলী থানাধীন এলাকায় শাহ আলী মাজার অবস্থিত এই মাজারের ভিতরে ও সামনের মেইন সড়কে চকলেটের মতন ফেরি করে ডেকে ডেকে বিক্রি হচ্ছে গাজা ইয়াবা এগুলো প্রশাসন দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে।
মাজার এলাকার আশ-পাশ জুড়ে অনায়াসে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে মাদকদ্রব্য গাজা। কিছু নারী ও পুরুষ প্রকাশ্যে গাজার পোটলা নিয়ে ফুটপাত জুড়ে বসে থাকে। এমনকি মেইন রাস্তা থেকে চলাচল করা রিকশা সিএনজি লেগুনা মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন গাড়ি থামালেই দৌড়ে গিয়ে তাদের কাছে গাঁজা বিক্রির চেষ্টা করে এতে বিরক্ত হচ্ছে গাড়ির প্যাসেঞ্জার ও পথচারীরা।
মাদক সেবনকারীরা এখান থেকে ক্রয় করে প্রকাশ্যে তা সেবন করছে। এখানে ২৪ ঘন্টা সমান তালে ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে গাজা। প্রতিটি পোটলা বিক্রয় হয় ১০০-২০০ টাকা করে। বেশিরভাগই ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে মাজারের ১নং ও ২ নং গেটের সামনে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান কালে মিরপুর মাজার জিয়ারাতে আসা বিভিন্ন লোকজন সাংবাদিকদের বলেন আমরা দূর দূরান্ত থেকে মাজার জিয়ারতের জন্য আসি। এখন মাজারের যে পরিস্থিতি হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যে ডেকে ডেকে মাদক দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে যা বিগত এত বছরে কোনদিনও হয়নি তাই এখন হচ্ছে, তাতে আশা আমাদের সম্ভব হচ্ছে না এখন বর্তমানে মাজারের আশপাশে ছুরি ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে।
মিরপুর শাহ আলী মাজারে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো এক ব্যক্তি বলেন এখানে মাজার শৃঙ্খলা কমিটি ও মাজারের প্রশাসন রয়েছে তারাও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না অভিযোগ রয়েছে মাজার নিরাপত্তার জন্য যে সকল সিকিউরিটি রয়েছে তারা এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন উৎকর্ষ নিয়ে থাকে তাই তারা কিছুই বলছে না মাদক ব্যবসায়ীদের।
আমার বার্তা/এমই