অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের এপিটাফ লিখে কোয়ার্টারে পিএসজি
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

- লিভারপুল ০ (১) - ১ (১) প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন
- টাইব্রেকারে পিএসজি ৪-১ ব্যবধানে জয়ী
পেট্রোডলারের পিএসজি ভেঙেছে আগেই। নেইমার, ডি মারিয়া, মেসি, এমবাপে কিংবা সার্জিও রামোসদের সেই জৌলুশ ছড়ানো প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন নেই। তবে ফুটবলের মূল ব্যাকরণ যেটা, সেই দিকে প্যারিসের ক্লাবটি মনোযোগ দিয়েছে জোরেশোরে। লুইস এনরিকের অধীনে পিএসজি কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটার একটা নমুনা গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই দেখেছিল ইউরোপ।
তবে সেটা সবচেয়ে ভালোভাবে টের পাওয়া গেল এবারের আসরে। লিভারপুলের অপ্রতিরোধ্য যাত্রার কথা কে না জানে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিংবা প্রিমিয়ার লিগে একপ্রকার রাজত্বই করছিল আর্নে স্লটের দল। সেই দলটাকেই দুই লেগে রীতিমত অসহায় করে রেখেছে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হেরেও শেষ পর্যন্ত লিভারপুলেরই ডেরা অ্যানফিল্ডে এসে পেয়েছে জয়।
সেই জয়টাও অবশ্য কম নাটুকে ছিল না। ওসমান ডেম্বেলের গোলে ১-০ গোলে জিতে আগে অ্যাগ্রিগেটে এনেছে সমতা। এরপর পাক্কা ১২০ মিনিটের ফুটবলীয় লড়াই শেষে টাইব্রেকারে লিভারপুলের হৃদয় ভেঙেছে পিএসজি।
প্লে-অফ খেলে আসা পিএসজির কাছে দুই লেগেই আর্নে স্লটের দল বলতে গেলে খাবি খেয়েছে। গত সপ্তাহে প্রথম লেগে জয়টা এসেছিল অ্যালিসন বেকারের অতিমানবীয় পারফরম্যান্স আর হার্ভে এলিয়টের শেষ দিকের গোলে। কিন্তু এদিনের স্ক্রিপ্ট ছিল ভিন্ন। ১২ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় পিএসজি।
আর শেষদিকে পেনাল্টিতে নায়ক বনে যান জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা। টাইব্রেকারে পিএসজির হয়ে শট নিয়েছেন ভিতিনিয়া, গনসালো রামোস, ডেম্বেলে ও দিসায়ার দুয়ে। আর ডোনারুম্মা একাই ঠেকিয়ে দেন ডারউইন নুনিয়েজ এবং কার্টিস জোন্সকে। টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে কোয়ার্টারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে প্যারিসিয়ানরা।
লিভারপুলের পক্ষে এদিন সহজ সুযোগ মিস করার কষ্টটা নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। মিশরের এই ফরোয়ার্ড ম্যাচের প্রথম ছয় মিনিটেই পরিষ্কার দুটি সুযোগ পেয়ে যান, যদিও একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। লিভারপুল আরও দুই গোলের সুযোগ তৈরি করে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে। কিন্তু কাজে আসেনি তা।
বিপরীতে ১২ মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডেম্বেলে ডান দিকে ব্র্যাডলি বার্কোলাকে বাড়িয়ে দ্রুত এগিয়ে যান ডি-বক্সে, সতীর্থের উদ্দেশ্যে ফিরতি পাস দেন বার্কোলা। লিভারপুল ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে ক্লিয়ার করতে পারেননি সেই বল। আলতো টোকায় গোল করেন ডেম্বেলে। প্রথমার্ধে এরপর লিভারপুল একাধিকবার আক্রমণে উঠেও সুবিধা করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠায় লিভারপুল। কিন্তু লাইন্সম্যান জানান দেন অফসাইডের। থেমে যায় অ্যানফিল্ডের গর্জন। দুই লেগের লড়াইয়ে পুরোটা সময় জুড়ে গোলরক্ষকদের একের পর এক সেইভ ছিল চোখে লেগে থাকার মতোই।
যদিও শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ করেছেন ডোনারুম্মাই। ঠেকিয়েছেন দুই পেনাল্টি। ২০২০ সালে এই ইংল্যান্ডেই পেনাল্টি শ্যুটআউট বীরত্বে জিতেছিলেন ইউরো শিরোপা। ২০২৫ সালে এসে সেই একই স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে আবার জিতে ফিরলেন তিনি।
আমার বার্তা/জেএইচ