মারাকানায় চিলিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ব্রাজিলের উৎসব

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ঐতিহাসিক মারাকানায় ২০২২ বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে শেষ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিল ব্রাজিল। তারই পুনরাবৃত্তি হলো কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তির চাওয়ায়। সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ কোচের ইচ্ছামাফিক চিলির বিপক্ষে ম্যাচটি মারাকানায় রাখা হয়। যেখানে বড় জয়ে উৎসব নামিয়েছেন এস্তেভাও-গুইমারেস ও লুকাস পাকেতারা। বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে।

নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ডটা আগেই দখলে ছিল ব্রাজিলের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ চিলি। গত বছরের অক্টোবরে তাদের সঙ্গে সর্বশেষ দেখায় সেলেসাওরা ২-১ গোলে জিতেছিল। সবমিলিয়ে চিলির বিপক্ষে ৭৪ ম্যাচে ৫২ জয় ছিল সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। সেই সংখ্যাকে তারা মারাকানায় আরেকটু বাড়িয়ে নিলো। ব্রাজিলের হয়ে এদিন গোল করেছেন তরুণ তারকা এস্তেভাও উইলিয়ান, লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গুইমারেস। 

ম্যাচজুড়ে পজেশন থেকে আক্রমণ ও শট সর্বত্র দাপট ছিল স্বাগতিক ব্রাজিলের। ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ২২টি শট নেয় আনচেলত্তির শিষ্যরা। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি। বিপরীতে চিলি ৩টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। বোঝাই যাচ্ছে সেলেসাও রক্ষণ দেয়ালে তারা কতটা নাস্তানাবুদ ছিল। শুরু থেকেই ব্রাজিল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ শাণাতে থাকে। পঞ্চম মিনিটেই ক্যাসেমিরো হেডে গোল করেছিলেন। কিন্তু তাদের উদযাপন ভেস্তে যায় অফসাইডের কারণে।

ফলে দর্শকদের পুনরায় উৎসবের আমেজটা আসে ৩৭ মিনিটের পর। নিখুঁত দলীয় আক্রমণ যাকে বলে। জোয়াও পেদ্রো, সান্তোস হয়ে বল পেয়ে ড্রিবলিং করে বক্সে ঢুকে শট নেন রাফিনিয়া। কিন্তু চিলি গোলরক্ষকের বাধায় সেটি বেরিয়ে যাওয়ার পথে থাকলে, দ্বিতীয় বারের সামনে থাকা এস্তেভাও কিছুটা লাফিয়ে মাথার ওপর দিয়ে শটে বল জালে জড়ান। কিংবদন্তি পেলের পর সর্বকনিষ্ঠ ব্রাজিলিয়ান হিসেবে গোল করলেন তিনি (১৭ বছর ৪ মাস )। পিছিয়ে পড়া চিলির জন্য ধাক্কা হয়ে আসে ৪৫ মিনিটে মারিপানকে দেখানো লাল কার্ড। ওয়েসলিকে বেপরোয়া ফাউল করায় তাকে রেফারির সরাসরি মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন, তবে খানিক বাদে মনিটর দেখে সেটি বাতিল করে হলুদ কার্ড দেওয়া হয়।

বিরতির পর অল্প সময়ের মাঝে ব্রাজিলের একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন আনচেলত্তি। বদলি নেমে লুইস হেনরিক, কাইও জর্জ ও পাকেতারা ঝলক দেখান। ইংলিশ লিগে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা থাকায় মাঝে দলে ডাক পাননি পাকেতা। তবে ওয়েস্ট হ্যামের এই মিডফিল্ডারের জাতীয় দলে ফেরার ম্যাচে দর্শকরা শোরগোল তুলে অভিবাদন দেন। এরপর ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটাই আসে তার হেডে। অনেকটা পথ ড্রিবলিং ও প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে হেনরিক বক্সে ঢুকে দ্বিতীয় বারে শট নেন। লাফিয়ে হেড দিয়ে সেটিকে গোলে পরিণত করেন পাকেতা। 

মিনিট চারেক বাদেই ফের মারাকানায় স্বাগতিক শিবিরে উৎসবের উপলক্ষ্য। এবারও বলের জোগানদাতা হেনরিক। তবে তিনি নিজেই জোরালো শট নিয়েছিলেন। যা চিলি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ওপরের বারে লেগে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তাতে পা ছুঁয়ে গুইমারেস ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন তৃতীয় দফায়। আক্রমণ অব্যাহত ছিল বাকি সময়েও, তবে আর কেউ গোলের দেখা না পেলেও বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।


আমার বার্তা/এমই