ক্যাচ ছেড়ে তরী ডুবল বাংলাদেশের, হেরেও গর্বিত অধিনায়ক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

আরেকটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হার দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে লড়েছে ৪৯.৩ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু একাধিক ক্যাচ মিস ও রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করায় ম্যাচ হেরে তাদের মাশুল গুনতে হলো। যদিও ক্রিকেটারদের শেষ পর্যন্ত লড়াকু মানসিকতার জন্য হেরেও গর্বিত বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
লক্ষ্য তাড়া করতে থাকা প্রোটিয়ারা ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানোয় জয়ের স্বপ্ন দেখছিল টাইগ্রেসরা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় লরা উলভার্টের দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ১৯৮ রানে তারা ৭ উইকেট হারানোয় ফের ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। তাদের জয় পেতে যখন আর ৯ রান বাকি, তখন ইনফর্ম ব্যাটার নাদিনে ডি ক্লার্ক লং অফে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বর্ণা আক্তার সবাইকে হতাশায় ডুবিয়ে ফেলে দেন সহজ ক্যাচ। এর আগে ডিপ মিডে ক্যাচ ফসকে চার দিয়েছিলেন সুমাইয়া আক্তার। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি রানআউটের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ।
যদিও শেষ পর্যন্ত স্নায়ু ধরে রেখে লড়াইয়ের জন্য সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি, ‘শেষ বল পর্যন্ত মেয়েরা যেভাবে লড়েছে, আমি তাদের নিয়ে সত্যিই গর্বিত। একইসঙ্গে আমি দুঃখিত কারণ তারা ড্রেসিংরুমে গিয়ে কাঁদছে, তারা বয়সে অনেক তরুণ। তবে আজ সবাই ১১০ শতাংশ দিয়ে লড়েছে, সেজন্য আমি খুশি। আবেগপ্রবণ হলেও তাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা জিতব। সবমিলিয়ে এটিয়ে আমাদের জন্য শেখার উপযোগী অভিজ্ঞতা।’
এর আগে টাইগ্রেসদের ব্যাটিং ছিল ধীরগতির। উইকেট না হারালেও ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান তুলেন ওপেনার ফারজানা পিংকি ও রুবাইয়া হায়দার। যা টিকেছে ১৬.১ ওভারে ৫৩ রান পর্যন্ত। ম্যাচ শেষে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা মিলল জ্যোতির কাছে, ‘শুরুতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারাব না। বড় জুটি প্রয়োজন ছিল, সেটাই হয়েছে। (ফারজানা) পিংকী অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং খুব ভালো খেলেছে। মিডল অর্ডারে যারা এসেছে, তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টায় ছিল। তবুও হয়তো ১০-১৫ রানের কমটি ছিল আমাদের।’
এ ছাড়া চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্রুততম (৩৪ বলে) ফিফটি করা স্বর্ণার প্রশংসা করে অধিনায়ক বলেন, ‘তাকে (স্বর্ণা আক্তার) নিয়েও আমি অনেকদিন থেকে বলে আসছি, মিডলে সে শতভাগ দিতে পারছিল না। কিন্তু সে সমসময়ই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল, আমরা জানতাম তার সেই কার্যকারিতা আছে। আজ যেভাবে ব্যাট করেছে সবাই উপভোগ করেছে। দেখিয়ে দিয়েছে যে এভাবেই ব্যাট করতে হবে। ’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরও তিন ম্যাচ বাকি। ফলে সেমিফাইনালে খেলার আশাও এখনও শেষ হয়ে যায়নি। নিজেদের সেই প্রেরণাই দিচ্ছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ‘ইংল্যান্ড ম্যাচেও আমরা দ্রুত ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু ৩০ ওভারের পর আমরা সঠিক জায়গায় বল করতে পারিনি। কিন্তু আজ ভিন্ন ছিল পরিস্থিতি। ব্যাটিংয়ের মাঝে এবং খেলার বিরতিতেও সঠিক লেংথে বল করা নিয়ে আমরা পরস্পর কথা বলেছি। বোলাররা তা ভালোভাবে করতে পেরেছে। জানি আমাদের দলটা বেশ তরুণ, কিন্তু তারা দিনদিন আরও বেড়ে উঠছে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা দুর্দান্ত। তাদের নিয়ে আমি কতটা গর্বিত বলেছি। জানিয়েছি এটাই আমাদের শেষ ম্যাচ নয়।’
আমার বার্তা/জেএইচ