সিনিয়রদের সঙ্গে মঞ্জু স্যার খুব খারাপ ব্যবহার করতেন: শুকতারা

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

জাহানারা আলমের যৌন হয়রানির বিস্ফোরক অভিযোগের পর এবার মুখ খুললেন জাতীয় নারী দলের আরেক সাবেক ক্রিকেটার আয়েশা রহমান শুকতারা। তিনি জানিয়েছেন, জাহানারার ঘটনার পর বর্তমানে দলের জুনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেও তার কাছে নিজেদের ‘বিব্রতকর অভিজ্ঞতা’ ও হয়রানির কথা বলতে শুরু করেছেন। 

একইসঙ্গে, সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলামের দুর্ব্যবহার এবং টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে নিজের বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। বর্তমানে খুলনা বিভাগীয় দলের কোচের দায়িত্বে থাকা শুকতারা একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন।

জাহানারা আলমের অভিযোগের বিষয়ে শুকতারা বলেন, জাহানারার সঙ্গে এমন কিছু ঘটে থাকলে তা খুবই কষ্টের। তবে তিনি আশ্চর্য হয়েছেন যে, জাহানারা এত বছর ধরে সিনিয়র সতীর্থদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করেননি।

তবে, এই ধরনের অভিযোগ যে শুধু জাহানারার একার নয়, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন শুকতারা। তিনি বলেন, ‘জুনিয়র কিছু মেয়ে আমাকে সম্প্রতি বলেছে, তাদের সঙ্গে কিছু ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ নিজের বিব্রতকর হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বলেছে। আমার কাছে যারা মুখ খুলেছে, তাদের নাম বলছি না, বলতে পারব না। এই সমাজের বাস্তবতায় বলা ঠিকও হবে না।’

অভিযুক্ত সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলামের (মঞ্জু) আচরণ নিয়ে শুকতারা নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘ওই ক্যাম্পে আমি এতটুকু দেখেছি, তিনি সিনিয়রদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করতেন।’ 

তিনি জানান, একবার ক্যাম্পে তার টাকা চুরি গেলে সিসি ক্যামেরা চেক করার অনুরোধ করায় মঞ্জুরুল উল্টো তাকেই দোষারোপ করেছিলেন।

সাবেক এই ক্রিকেটার জানান, তিনিও একসময় টিম ম্যানেজমেন্টের বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। শুকতারা বলেন, ‘বিশ্বকাপে তৌহিদ স্যারের (প্রয়াত তৌহিদ মাহমুদ) সঙ্গে কথাকাটাকাটি হওয়ায় পরে আমাকে এড়িয়ে চলা হতো। কোচিং স্টাফের কাছ থেকে কোনো সাপোর্ট পাচ্ছিলাম না। বিকেএসপির ওই ক্যাম্পে আমাকে ইনডোরে একা নেটে টিম বয়দের থ্রো বলে অনুশীলন করতে বাধ্য করা হয়, যখন অন্যরা টার্ফের উইকেটে নেট সেশন করেছে।’


আমার বার্তা/জেএইচ