জ্যোতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন তার ভাই
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

মাঠের বাইরের বিতর্কিত ঘটনায় টালমাটাল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। সম্প্রতি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু ও প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন জাহানারা আলম। এমনকি জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধেও সিনিয়র ক্রিকেটারদের অসম্মান, জুনিয়রদের গায়ে হাত তোলাসহ নানা অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশের আরেক সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদ জানান, জাহানারা যা বলেছেন তার সবটুকুই সত্য। বোর্ড থেকে এখনও আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। আসলে দল সবসময়ই ওই সময় মঞ্জু এবং অধিনায়ক ঠিক করতো। তাদের দুজনের হাত ছিল আসলে সবকিছুতে।
শুরুতে জাহানারার অভিযোগ অস্বীকার করে পুরোপুরি উড়িয়ে দেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। বিসিবিও তা বানোয়াট বলে বিবৃতিতে জানায়। পরবর্তীতে সাবেক নির্বাচকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠলে বিসিবি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে জ্যোতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও বেশ আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ককে নিয়ে ওঠা অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তার ভাই সম্রাট সালাউদ্দিন। তিনি লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। জাহানারা আলম সাবেক ম্যানেজার মঞ্জুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা খুবই গুরুতর। এই অভিযোগের যদি বিন্দুমাত্র সত্যতাও থাকে, তাহলে যেন দোষীদের কঠোর শাস্তি হয়। আমি এই গুরুতর অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ক্রীড়াঙ্গনে নারীর বিচরণ যেন নিরাপদ হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
এরপর জ্যোতির বিরুদ্ধে গ্রুপিংয়ের অভিযোগ অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেন তিনি, ‘দলের সিন্ডিকেট, গ্রুপিংয়ের বিষয়ে জ্যোতিকে জড়িয়ে যে সকল অপপ্রচার চলছে তা খুবই হতাশাজনক। যে বা যারা এটা করছেন তারা এটা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই করছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। সিন্ডিকেট কারা করতো তা সকলেই জানে এবং এই সিন্ডিকেট/গ্রুপিংয়ের মূল হোতা কারা ছিল এটা (নারী দলের) সাবেক কোচ হাসান তিলকারত্নের বিদায়ী ইন্টারভিউতে পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন। কাজেই এটা নিয়ে কথা বলার কিছু নাই।’
‘জাহানারা, রুমানা আপনারা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটকে আজকের অবস্থানে আনতে অবদান রেখেছেন। আপনারা দল থেকে বাদ পড়ার জন্য জ্যোতির ওপর যে দোষ দিচ্ছেন তা মোটেও ঠিক না। সেটা আপনারাও ভালো করে জানেন। আর ব্যাগ টানা, তেল দিয়ে দেওয়া, একজনকে বকা-ঝকা করা এগুলো ড্রেসিংরুমের কমন জিনিস। এগুলো হলো ভালোবাসা, বন্ডিং; সিন্ডিকেট না। যারা খেলাধুলা করছেন তারা এটা জানেন। আমরা ছেলেরাও খেলার মাঠে সিনিয়র ভাইদের এমন আচরণ দেখে আসছি, খুশি মনে সহ্য করছি।’
‘যারা নারী ক্রিকেট নিয়ে খোঁজ-খবর রাখেন তারাই বলতে পারবেন জ্যোতির হাত ধরে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট বিশ্বদরবারে কতটুকু এগিয়েছে। জাহানারা আলম, আপনার ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আপনার জন্য দোয়া রইলো যেখানেই থাকেন ভালো থাকবেন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব যেন তাড়াতাড়ি পান সেই দোয়াও করি। আশা করি সকল সত্য উদ্ঘাটন হয়ে জ্যোতি আলো হয়েই থাকবে।’
আমার বার্তা/এমই
