আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, যতটা ভয়াবহ হতে পারে

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫, ১৫:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ঘূর্ণিঝড়ের নাম শুনলেই বাংলাদেশের সবার মনে জেগে ওঠে সিডর, আইলা, মহাসেন কিংবা আম্পানের স্মৃতি। তবে, বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে আবারও ঘূর্ণিঝড়ের হুমকি এসেছে। আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে যা পরিণত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’তে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ১৬ থেকে ২২ মে’র মধ্যে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যার ফলে এটি ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষত খুলনা, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রাম এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র বিবরণ

নিম্নচাপের অবস্থান: আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সময়সীমা: ১৬ থেকে ২২ মে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করতে পারে। ২৩ থেকে ২৮ মে এটি উপকূল বরাবর আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম: ‘শক্তি’ (Shakti), যা শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত। এর অর্থ হলো ‘Power’ বা ‘শক্তি’। এটি একটি সংস্কৃত/দ্রাবিড় শব্দ, যা সাধারণত নারী বা দেবী শক্তির রূপক অর্থেও ব্যবহৃত হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এই শব্দটি খুব পরিচিত।
বাতাসের গতি: ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিমি, যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
 জলোচ্ছ্বাস: ৩ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল

খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি এড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু সার্বিক প্রস্তুতির মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো অবশ্যই সম্ভব। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সম্পদ ও জীবন রক্ষা করতে হলে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি পর্যায়ে সক্রিয় ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

আমার বার্তা/জেএইচ