ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগ্রহী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের একজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে আবেদন করতে পারবেন।
সোমবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমফিল ভর্তির আবেদন ফরম ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। ভর্তি ফি বাবদ ১ হাজার টাকা জনতা ব্যাংক, টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের এক কপি সদ্য তোলা ছবি এবং গবেষণার একটি রূপরেখা জমা দিতে হবে। সবকিছু যথাযথভাবে পূরণ করে আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান বা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে ৩০ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের শিক্ষা জীবনের সব পরীক্ষায় অন্তত দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ/জিপিএ পদ্ধতিতে ৫.০০ স্কেলে কমপক্ষে ৩.৫০ অথবা ৪.০০ স্কেলে কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে। তবে প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য শর্ত কিছুটা শিথিলযোগ্য—তাদের ক্ষেত্রে ৫.০০ স্কেলে ৩.০০ এবং ৪.০০ স্কেলে ২.৫০ ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়েছে।
সরকারি ও ইউজিসি স্বীকৃত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে বিদেশি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির (ডিন, ফার্মেসি অনুষদ) নিকট আবেদন করে সমতাসনদ গ্রহণ করতে হবে।
চাকরিরত প্রার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অনাপত্তিপত্রসহ এক বছরের ছুটি অনুমোদন করিয়ে ভর্তি ফি জমার তিন মাসের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। অন্যথায় রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ছুটির প্রয়োজন না থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
এমবিবিএস বা সমমানের ডিগ্রিধারীরাও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধীনে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট পরিদর্শনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই