জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আবাসিক হল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সরাতে অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব হল থেকে বের হওয়ার সময় ৪৭ ব্যাচের কয়েকজন মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার গাড়িতে আঘাত করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কয়েকটি বন্ধ কক্ষ সিলগালা করে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রোববার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়তে নির্দেশ দেয়। তবে শিক্ষার্থীরা তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
অভিযান শেষে উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা হল অফিসে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ৪৭ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে কোষাধ্যক্ষ গাড়িতে বের হওয়ার সময় কিছু শিক্ষার্থী দৌড়ে গিয়ে তার গাড়িতে আঘাত করেন। পরে তিনি নেমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় প্রক্টর ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অভিযানে প্রক্টরের পাশাপাশি বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রশাসনের দায়িত্বরত শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আসন্ন জাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে স্নাতোকোত্তর শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ছাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। হলে তাদের রেখে নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। একে একে সব হলে এ অভিযান চলবে। তবে এ সময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এবং ট্রেজারার স্যারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ