
তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।
ডাকসুর মতে, জুলাই বিপ্লব-পরবর্তীসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষে এটি প্রথম শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা, যা ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও পেশীশক্তিনির্ভর রাজনীতির ফল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর রাতে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদকসেবন ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। কথাকাটাকাটি থেকে পরিস্থিতি দ্রুত হাতাহাতিতে এবং পরে ধারালো অস্ত্র ব্যবহারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে গুরুতর আহত হন সাকিবুল হাসান রানা। তাকে দ্রুত হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হলেও মাথায় আঘাত, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও গভীর ক্ষতের কারণে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বুধবার দুপুরে মারা যান।
ডাকসু বলছে, একটি ছাত্র সংগঠনের অন্তর্দ্বন্দ্ব, মাদক সংশ্লিষ্টতা ও সশস্ত্র ক্ষমতাবাজির সংস্কৃতির ভয়াবহ সমন্বয়ে একটি সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী অকালে প্রাণ হারিয়েছে। এমন বর্বরতা শিক্ষাঙ্গনের স্বাভাবিক পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সংগঠনটি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্রাবাস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং রাজনৈতিক দলের নামে সশস্ত্র বলয় গড়ে তোলার মতো কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ডাকসু অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই

