রাজধানীর বনানীর নৌ সদর দপ্তরের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে সেটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে পালানোর সময় যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাসের নিচে চাপা পড়া মোটরসাইকেলটির তেলের ট্যাংকে ঘর্ষণের ফলে আগুন ধরে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভালেও বাসটিকে রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ২ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট বনানীতে গিয়ে আগুন নেভায়। তবে বাসটিকে রক্ষা করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন ট্রাফিক পুলিশ বলেন, বনানী ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় বাসটি একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে দূরে পড়ে যান। মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে পড়লে সেটিকে বহুদূর টেনে নিয়ে যায় বাসটি। এ সময় রাস্তার সঙ্গে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকের সংঘর্ষে আগুন ধরে যায়। আগুন দ্রুত বাসে ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা নামতে পারলেও বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি জে কে এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কোম্পানির। বাসটি ঢাকা–শেরপুর চলাচল করে।
কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসটি শেরপুর থেকে এসে বনানী হয়ে মহাখালীর দিকে যাচ্ছিল। বনানী ফ্লাইওভার থেকে বাসটি যখন নামছিল তখন একটি মোটরসাইকেল ইউটার্ন নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় মোটরসাইকেলটি বাসের চাকার নিচে পড়ে যায়। মোটরসাইকেলের চালক ছিটকে পড়ে যান। বাসটি তখন মোটরসাইকেলটি নিয়ে অনেক দূর চালিয়ে যায়। এতে সড়কের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে মোটরসাইকেলের ট্যাংক ফেটে আগুন ধরে যায়।
আমার বার্তা/এমই