মুন্সীগঞ্জের সদর পৌরসভা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে যোগদানের পথে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর আলহাজ্ব মহিউদ্দিনের সমর্থকদের উপর স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাসের সমর্থকরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে গজারিয়া উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়া অন্তত ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ সদর হাটের লক্ষীগঞ্জ এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্যর সমর্থক পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ভাই মনির হোসেনের সমর্থক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিনের সুযোগ্য পুত্র মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে গজারিয়ার আওয়ামী লীগের ৪ শতাধিক নেতাকর্মী মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য যাত্রা করে। তারা মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছার পর গজারিয়ার নেতা-কর্মীরা ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’ স্লোগান দিয়ে এগিয়ে চলার সময়স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাসের সমর্থকরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। তাদের অতর্কিত হামলায় গজারিয়ার প্রায় ২ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হন। আহত অর্ধশত নেতাকর্মী গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাসের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া এবং মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মৃনাল কান্তি দাসের সমর্থকরা এই হামলা চালান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় ও বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল (শনিবার) বিকালে গজারিয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আহমেদ জিন্নাহ, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি শাহাজাহান খাঁন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদকারীরা জানান, জেলা পুলিশের কতিপয় সদস্যের উপস্থিতিতে সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাসের সমর্থকরা গজারিয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা প্রথমে মনে করেছিলেন, সড়কে অপেক্ষামান লোকজন (সন্ত্রাসীদল) গজারিয়া আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা দিতে হয়তো দাড়িয়ে আছে। বাস্তবে তা হয়নি। তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মত নির্যাতন চালিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্ত্রাসীদের আগামী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা ও বাস্তবায়নে মাঠে নামবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান জানান, ‘গত শুক্রবারের (২৯ সেপ্টেম্বর) সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষেই মামলা করে নাই। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয় নাই। কতিপয় হামলাকারী পুলিশের নজরদারিতে আছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এবি/টিএ