কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া এক মহিলার লাশ দাফন করতে বাধা ও কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দেউস পূর্ব পাড়া গ্রামে।
মৃত মহিলার স্বামী আবু তালেব বলেন,গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮.৩০ মিনিটে আমার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ধনী (৪৬) হৃদরোগ ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। আমার প্রতিবেশী লোকেরা সকাল ১০ টায় আমার স্ত্রীর কবর স্থান খনন করতে আমার নিজস্ব জায়গায় যায়। আমার এলাকার পার্শ্ববর্তী মৃত্যু সামু ব্যাপারীর ছেলে ডাক্তার রওশন আলী, তার ছেলে জীবন মিয়া, খোকন মিয়া ও মো: স্বপন মিয়াসহ অজ্ঞাত ৫/৭ জন মিলে আমার স্ত্রীর কবর খনন করতে বাধা প্রদান পরে। পরে আমি এলাকাবাসীর শরণাপন্ন হলে তাদের সহায়তায় চার ঘণ্টা পর কবর খনন করতে সক্ষম হই। আমার স্ত্রীর জানাজা হওয়ার কথা ছিল বাদ যোহর কিন্তু উক্ত ঝামেলার কারণে লাশ দাফন করতে সক্ষম হইতেছি বাদ আসর। গত ১৩ মার্চ আমি আমার নিজস্ব জায়গায় কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে উপরোক্ত সকল লোকেরা কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে এবং আমার ১ লক্ষ টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি করে।
এ ব্যাপারে মৃত জেসমিন আক্তার ধনী বেগমের মেয়ে শিরিন আক্তার, শারমিন আক্তার, লিজা আক্তার ও সোহাগী আক্তার জানান আমরা চার বোন আমাদের কোন ভাই নেই আমার বাবা একজন অসহায় আমার মা মারা যাওয়ায় আমরা আমাদের নিজস্ব জায়গায় কবরস্থান খনন করতে গেলে তারা বাধা প্রদান করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে আমাদের জায়গায় কবরস্থান খনন করে জানাজার শেষে লাশ দাফন করি। গত ১৩ মার্চ আমরা আমাদের কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করলে উপরোক্ত সকলে কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে এবং ক্ষয়ক্ষতি করে।
এ ব্যাপারে শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রিয়াদ বলেন এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি আমি বিষয়টি জেনে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করব।