গজারিয়া উপজেলায় জোয়ারের পানির তোড়ে ভেসে গেছে শতাধিক গরু। একের পর এক ভেসে উঠছে মরা গরু। এরই মধ্যে ৪১টি মৃত গরু উদ্ধার করা হলেও এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬০টির মতো গরু নিখোঁজ রয়েছে। এতে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। ভুক্তভোগীদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের পরিবেশ। শুক্রবার বিকালে হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রামসংলগ্ন খালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
স্থানীয়দের ভাষ্য, কৃষক মহসিনের চারটি, নাহিদের তিনটি, ইয়ানূরের তিনটি, এমার দুটি, মাসুমের একটি, আবুল হোসেনের তিনটি, শাহজালালের তিনটি, কবির হোসেন খানের তিনটি, শরিফ হোসেনের তিনটি, তরিকুল ইসলামের দুটিসহ শতাধিক গরু পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গ্রামের প্রায় সবারই গরু রয়েছে। ভাটি বলাকী গ্রামসংলগ্ন চরে ঘাস খাইয়ে গরুগুলো লালন-পালন করেন সবাই। গ্রাম এবং চরের মধ্যে ছোট খাল পাড়ি দিয়ে চরে গিয়ে ঘাস খেয়ে প্রতিদিন বিকালে গরুগুলো আবার গোয়ালে ফিরে আসে। শুক্রবার বিকালে খাল পাড় হওয়ার সময় হঠাৎ জোয়ারের পানির তোড়ে এবং কচুরিপানার চাপে শতাধিক গরু ভেসে যায়।
ভুক্তভোগী মহসিন বলেন, এমন ঘটনা জীবনেও ঘটেনি। আমার চারটি গরু ভেসে গেছে। ভুক্তভোগী আবু তালেব সুজন খান বলেন, ভাটি বলাকী গ্রামের ২৫-৩০টি পরিবারের পাঁচ শতাধিক গরু আছে। চর থেকে গ্রামের দিকে ফেরার পথে তীব্র স্রোতে শতাধিক গরু পানির সঙ্গে ভেসে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নেয়ামুল হক বলেন, দেখলাম কচুরিপানার চাপে ও জোয়ারের পানির তোড়ে একের পর এক গরু ভেসে যাচ্ছে। এ রকম অদ্ভুত ঘটনা কখনো দেখিনি আমরা।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল আরাফাত বিন ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে রয়েছি আমরা। আমাদের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা তাদের সাহায্য করব।
আমার বার্তা/এমই