পরিবেশ বাঁচাতে শুধু ড্যাপ সংশোধনই সমাধান নয় ঢাকা নির্ভর আবাসন চিন্তা না করার পরামর্শ নগর পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টদের। বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) দুর্নীতি মুক্ত করারও তাগিদ তাদের।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ ও টেকসই নগরায়ণ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে নানা পরামর্শ ও দাবি তুলে ধরেন বক্তরা।
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে-২০২২ সালে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক। এরপর থেকেই এর সংশোধন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য। যার কারণে আটকে আছে ড্যাপের সংশোধন ও বাস্তবায়ন।
এমন বাস্তবতায় 'টেকসই নগরায়ন প্রসঙ্গ' শীর্ষক নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। যেখানে উঠে আসে ভবন নির্মাণে ফ্লোর এরিয়া রেশিও বা ফারের মান কম-বেশিতে কীভাবে জটিলতার মুখে পড়ছে আবাসন খাত আর হুমকির মুখে পরিবেশ।
আর আবাসন খাতের ব্যবসায়ী রিহ্যাবের সহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এলাকা ভেদে ফারের মান আলাদা হওয়ায় ভবন নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছেন না জমির মালিকরা। আবার ফ্লাটের সংখ্যা কমে যাচ্ছে তৈরি হচ্ছে সমস্যা।
ঢাকার জনঘনত্বের জন্য রাজউককে দায়ী করে রাজনীতিবিদরা বলেন, শহর বাঁচাতে উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্ব বাড়াতে হবে।
সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, আমাদের অনেক প্রবাসী আছেন, যাদের দেশে অনেক বাড়ির প্রয়োজন পড়ে না। সেটি নিয়েও চিন্তাভাবনা করা যায়।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পটোয়ারী বলেন, ঢাকার সম্পূর্ণ মৃত্যুর জন্য রাজউককে দায়ী করবো। এতো ঐতিহাসিক একটা শহর, অর্থনৈতিকভাবে সফল, এতো মানুষের বসতি কেন ধ্বংস হয়ে গেল।
ফারের মান বাড়িয়ে সুউচ্চ ভবন নির্মাণে যেমন বিপর্যস্ত হবে পরিবেশ, তেমনি ফার কমালে তৈরি হবে আবাসন সংকট-এমন বাস্তবতায় সব পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ উঠে আসে আলোচনায়।
আমার বার্তা/এল/এমই