রাস্তায় দাড়িয়েছি, বাসায় যেতে পারছি না। পরিবারের সবাই জানে আমরা ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতে বিদেশ যাবো। যেই যাওয়া আমাদের আর হলো না। বিদেশগামী যাত্রীরা এভাবেই বলছিলেন তাদের সংবাদ সম্মেলনে। পুরানা পল্টন আজাদ সেন্টারে প্রবাসী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, প্রতিষ্ঠানটির সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন মেহেদী। সার্বিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মানবসম্পদের ব্যবসা করে আসছেন। এরই মধ্যে প্রতারিত হয়েছেন ১৬০জন যাত্রীকে রাশিয়ায় কাজের জন্য পাঠাতে গিয়ে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মানবপাচারকারী একটি চক্রের মূলহোতা শিউলী আক্তার ও শেখ মোস্তফা জাবেদ টগরের কাছ থেকে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ১৬০ জন যাত্রীকে রাশিয়াতে পাঠানোর কথা বলে প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ৪লাখ ৩৫ হাজার করে মোট ৬কোটি ৯৬ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করে মেহেদির কাছে। মেহেদি শিউলির প্রলোভিত প্রস্তাবে আস্তা রেখে গত বছরের ৮ই মে নগদ ১০লাখ টাকা ও ১৬০টি পাসপোর্ট প্রদান করে। এছাড়াও শিউলির পৃথক তিনটি ব্যাংকের একাউন্ট নম্বার ২০৫০১৮৬০২০৪৩৪৪৬০৫, ২০৫০৭৭৭৬৭০০৫৯০৫৯০ এবং ১০৫১৫৭০০৩৭২৪১ –তে মোট ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং নগদ ১৮ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপরই শুরু হয় শিউলির প্রতারণা। তার ব্যবহৃত হোয়াটসএ্যাপ নাম্বার থেকে এবছরের জানুয়ারির ৪ তারিখে যাত্রীদের ভিসা পাঠায়। এরপরপরই শিউলি মেহেদীর কাছে যাত্রীদের বাকী টাকা চাইতে থাকে। পরবর্তীতে, শিউলির ব্যবহৃত ব্যাংক একাউন্টগুলোতে ৯৯ লাখ টাকা পাঠায়। মেহেদি বলেন, জানুয়ারির ২৩ তারিখে ১১৮জন রাশিয়ার এবং ৪২জন সার্বিয়ার যাত্রীর ভিসা পাঠালে তা বিএমইটিতে যাচাই করি। সেখান থেকে জানানো হয়, ভিসা এবং বিএমইটির কাগজ নকল। পরবর্তীতে আইনের আশ্রয় নিতে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগি মেহেদী। যা পল্টন মডেল থানা মামলা নম্বার- ৩৮। ঘটনাটি নিয়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে শিউলীকে আটক করা হয়েছে বলেন জানানো হয়। তবে, ১৬০ জন প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের পাসপোর্ট ও দেড় কোটি টাকা ফেরত চাইতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বলে জানান ভোক্তভোগীরা।
এবিষয়ে ডিবির এডিসির সাথে কথা বলে জানা যায়, আটক হওয়া শিউলির বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আমার বার্তা/নয়ন/এমই