ই-পেপার বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে গভর্নরসহ জড়িতদের বিচার চায় সিপিডি

বিশেষ প্রতিবেদক:
১২ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৫০
সোমবার ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি

বিগত বছরগুলোতে বড় বড় অন্তত ২৪টি আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে, যার পরিমাণ ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। অন্যদিকে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকায়।

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া জন্য অনেক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। যার ফলে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ দাবি জানিয়েছেন। এ ময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসনিক দায়িত্ব যারা পালন করেছেন অর্থাৎ গত ১৫ বছরে গভর্নর যারা ছিলেন তারা যেসব নীতিমালা নিয়েছেন, ওইগুলো ব্যাংকিং নর্মসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য অনেক নিয়মে ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। যার ফলে বিশেষ গোষ্ঠীকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিটি কেইস তদন্ত হওয়া উচিত। এর সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। ২০০৯ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যার পরিমাণ দাড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ করার জন্য সিআইডি ৭৯ বার সময় নিয়েছে। নতুন সময় ৪ সেপ্টেম্বর। ভবিষ্যতে দেখা যাবে। আমরা চাই ওই তদন্ত প্রতিবেদন উন্মুক্ত করা দেওয়া হোক।

সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, বারবার পুনঃতফসিল করার কারণে ঋণ খেলাপির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, এটা বন্ধ করতে হবে। ২০১২ সালের হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারিতে দেখেছিলাম অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা দুর্বল ছিল, এখনও বিভিন্ন ব্যাংকে তা রয়ে গেছে। ২০২১ সালের তথ্যানুসারে ১১টি ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত গবেষণা করে বলেছিলাম শক্তিশালী প্রশাসক নিয়োগের সুপারিশ করছি। অনেকগুলো মৃতপ্রায়। এগুলো বেঁচে থাকার কথা নয়। ওইগুলো বন্ধ করা উচিত। যেগুলো দুর্বল রয়েছে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করে যথাযথভাবে ঠিক করতে হবে। না হলে সক্রিয় করা সম্ভব নয়।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, অনেক আর্থিক মামলা আদালতে পড়ে আছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর্থিক আদালতে মামলার সংখ্যা ৭২ হাজার ৫০০টি। টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে আর্থিক কেলেঙ্কারি খুঁজে বের করা প্রয়োজন। আমাদের গবেষণায় দেখিয়েছিলাম ২৪টি আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে, যার পরিমাণ ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলো মার্জ হওয়ার পূর্বশর্ত হলো অডিট করে ফাইনান্সিয়াল অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখা। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ক্যাটাগরি ঠিক করে দিতে হবে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকার ১৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে পুঁজি হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে আর্থিক বিভাগ বাতিলের দাবি জানিয়ে সিপিডি বলছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগ অর্থাৎ এফআইডি রয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে তার কার্যক্রম করতে পারে না। এটা সৃষ্টি করার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং সেক্টরকে প্রভাবিত করা। আমরা মনে করি অন্যায়ভাবে ঋণ কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত যেগুলো নেওয়া হয়েছে, তার একটি তদন্ত হওয়া উচিত। আমাদের সুপারিশ এফআইডি বন্ধ করে দেওয়া উচিত, এই বিভাগের কোনো প্রয়োজন নেই।

আমার বার্তা/এমই

ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল

চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ

বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলার

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র পরিবার-পরিজনের জন্য বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে চলতি

মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের: অধ্যাপক কামরুন নাহার

হামদর্দ বাংলাদেশ সিনিয়র পরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক কামরুন নাহার হারুন বলেন, মানুষের জন্য কাজ

২৫ বিলিয়ন ডলার ফেরানোর মিশনে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে বিপুল অর্থ। এসব অর্থ দেশে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদের পরে বদহজম বা ডায়রিয়া : কি করবেন, কি করবেন না

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে

দেশে মানবিক আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: ডা. শফিকুর

সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না: মাহফুজ আলম

কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য: মির্জা ফখরুল

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া

ঈদের পরে যে বিষয় গুলোতে সচেতন থাকতে হবে

বাংলাদেশ নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মিসলিডিং: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব মহাসচিবের শুভেচ্ছা বিনিময়

মাদারীপুরে তিনটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৪ যুবক নিহত

বিদেশিদের জন্য ডিজিটাল অ্যারাইভাল কার্ড বাধ্যতামূলক থাইল্যান্ডে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এয়ারপোর্টগামী মাইক্রোবাসে ছিনতাই: চাপাতি ফারুক গ্রেপ্তার

ভৈরবে রেললাইনের সিগন্যাল কেবল চুরির সময় গ্রেপ্তার ২

৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে বৃষ্টি

ফেসবুকে ভুয়া আইডির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারের পরিচালকের জিডি

মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপলাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আহত শতাধিক

অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না কনস্টেবল রনির

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কে ভারতের যেসব খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি