গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া ৬ কার্যদিবসের মধ্যে ৫ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন তলানিতে নেমেছে। অবশ্য যে হারে দরপতন হয়েছে, সে হারে বাজার মূলধন কমেনি।
গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমে গেছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে প্রায় ১৫০ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশের বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান। দৈনিক গড় লেনদেন কমে চলে এসেছে আড়াইশ কোটি টাকার কাছাকাছি।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৬৮টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৩টির। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় ৪ দশমিক ৪৬ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এমন পতন হওয়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা বা দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১৪৭ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অপর দুই সূচকের মধ্যে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৪৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৬৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৮৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিক।
আমার বার্তা/এল/এমই