প্রতিবারের মত এবারও দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চা বিক্রেতাদের মেধাবী সন্তান ও তাদের পরিবারকে সম্মাননা দিল মেঘনা গ্রুপের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘নাম্বার ওয়ান’।
এ উপলক্ষ্যে গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫-প্রাপ্ত ৬২ জন শিক্ষার্থীর হাতে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেটসহ উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
‘নাম্বার ওয়ান’ বাবার কৃতী সন্তান সংবর্ধনা ২০২৫’ এ উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইর চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, হেড অব সাপ্লাই চেইন রাশেদুল হকসহ এমজিআইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক তার বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক গল্পের পাশাপাশি কৃতী সন্তানদের উদ্দেশ্যে বলেন, দ্রারিদ্রতা বড় হওয়ার পথে কোনো বাঁধা নয়। যারা কষ্ট করে বড় হয়, তারাই প্রকৃতপক্ষে বড় হয়। তিনি লেখাপড়াকে পরশমণির সঙ্গে তুলনা করে পড়াশোনার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান করেন।
মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার বলেন, প্রতিটি সন্তানের সফলতার পেছনে রয়েছে বাবা ও মায়ের অনেক ত্যাগ ও সংগ্রাম। আমরা সেই সব বাবা-মায়ের সন্তানদের জন্যে এই সংবর্ধনা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড সবসময় তাদের সঙ্গে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেছেন, এই কৃতী সন্তানেরা এক সময় সাফল্যের আলোয় আলোকিত করবে দেশ ও পরিবার।
ঢাকার কমলাপুর থেক আসা শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেনের বাবা জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এরকম প্রোগ্রাম তাদের জন্য সত্যিই এক অনুপ্রেরণামূলক। তিনি সারা দেশের চা-দোকানিদের সঙ্গে এক ছাদের নিচে আসতে পেরে অনেক আনন্দিত। তিনি নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ডকে তার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
অন্যদিকে দিনাজপুর থেকে আসা আরেক শিক্ষার্থী দিয়া রায় বলেন, তিনি কখনো ভাবেননি জীবনে এমন বড় কোনো সংবর্ধনা পাবেন। এজন্য তিনি তার পরিবারের প্রতি এবং নাম্বার ব্র্যান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
আমার বার্তা/এল/এমই