
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন আলোচিত মডেল ও সমাজকর্মী মেঘনা আলম। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং একই সঙ্গে এলাকার উন্নয়নে বেশ কিছু বাস্তবমুখী পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
তবে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হবেন নাকি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন—সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অবস্থান নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে।
ফেসবুক পোস্টে মেঘনা আলম জানান, তার মূল লক্ষ্য ঢাকা-৮ আসনকে দেশের নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা। তার মতে, দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তব পরিবর্তন খুব কমই দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক মানের একটি আধুনিক নগর গড়তে হলে প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যার দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা বৈশ্বিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা-৮ এলাকায় বিশেষায়িত ও আধুনিক সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় নারীরা যেন হয়রানি বা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের শিকার না হন, সেটিই হবে প্রধান লক্ষ্য।
এছাড়া এলাকায় যানজট কমানো এবং পথচারী ও সাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে একটি সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি। এতে করে মানুষ হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত হবে, যা পরিবেশবান্ধব নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে।
সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে স্বল্প ব্যয়ে জনসাধারণের জন্য বহুমুখী পাবলিক ওয়াশরুম স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এসব স্থাপনায় গোসল, শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তন, ব্রেস্টফিডিংসহ প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি কমিউনিটি লন্ড্রি সিস্টেম চালুর মাধ্যমে বস্তিবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে সহায়তা করার কথাও জানান তিনি।
মেঘনা আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা এবং সামাজিক ও আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন। তার দাবি, এই উদ্যোগগুলো শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বরং বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনার অংশ।
ঢাকা-৮ আসনে একজন নতুন মুখ হিসেবে মেঘনা আলমের এই ঘোষণা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তিনি কোন রাজনৈতিক কৌশলে মাঠে নামেন এবং ভোটাররা তার এই উন্নয়ন ভাবনাকে কীভাবে গ্রহণ করেন।

