সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষ "হাঁট ব্লক" বা "পা অবশ হয়ে যাওয়া" সমস্যায় ভুগছেন, যা হাঁটতে সমস্যা, ব্যথা কিংবা একেবারে পা নাড়াতে না পারার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। অনেকেই ভয় পান এই অবস্থার জন্য হয়তো সার্জারি লাগবে। তবে চিকিৎসকদের মতে, সব ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন পড়ে না। কিছু ক্ষেত্রে ঘরোয়া ও চিকিৎসাগত পদ্ধতিতেই পায়ের ব্লক খোলা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক পুষ্টি ও প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি পায়ের ব্লক খোলায় সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিন কিছু সময় ধীরে হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং অবশভাব কমে।
হাঁটের পেশি ও নার্ভে গরম পানির তোয়ালে দিয়ে সেঁক দিলে ব্যথা কমে এবং স্নায়ুর কাজ ফিরে আসে।
প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্টের কাছ থেকে ম্যাসাজ ও স্ট্রেচিং থেরাপি নিলে পেশি ও নার্ভ সচল হয়।
স্নায়ু ভালো রাখতে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স (বিশেষ করে বি১২) ও ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে বলা হয়। এটি চিকিৎসকের পরামর্শে নেওয়া উচিত।
একই ভঙ্গিতে বেশি সময় বসে থাকলে পায়ে ব্লক বা অবশভাব দেখা দিতে পারে। প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পরপর দাঁড়িয়ে হাঁটুন।
পানি বেশি পান করুন, ফলমূল খান, যাতে শরীর থেকে টক্সিন বের হয় এবং স্নায়ু সচল থাকে।
যদি ব্লক ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হয়
পায়ে সম্পূর্ণ অনুভূতি হারিয়ে যায়
হঠাৎ ব্যথা ও ফুলে যাওয়া শুরু হয়
হাঁটতে একদমই না পারেন
এই উপসর্গ থাকলে দ্রুত একজন নিউরোলজিস্ট বা অর্থোপেডিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (নিটোর)-এর চিকিৎসক ডা. আফতাব হোসেন জানান,
“সব পা অবশ বা হাঁট ব্লকের জন্য অস্ত্রোপচার জরুরি নয়। অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক চিকিৎসা, ব্যায়াম ও খাবার পরিবর্তন করলেই সমস্যা সমাধান হয়।”