২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে হাতপাখা প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বরিশাল আদালতের মূল ফটকে অবস্থান নেয় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকরা।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম। তিনি চরমোনাই পীরের ছোট ভাই।
এ মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহসহ প্রতিদ্বন্দী ছয়জনকে বিবাদী করা হয়। ঐ মামলা দায়েরর পর প্রতিদিনই বরিশাল নগরীতে চরমোনাই পীরের কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশ, মিছিল, গণসমাবেশ, পদযাত্রা করে ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবী জানানো হয়।
মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আদালত আদেশের জন্য ধার্য তালিকায় রেখেছিলেন। তিনি বলেন, আদালত আগামী ৫ মে আদেশের জন্য ধার্য তারিখ দিয়েছেন।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নগরীর সদর রোডে অবস্থান নিতে শুরু করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা ফজলুল হক এভিনিউতে আদালতের মূল ফটকে অবস্থান নেয়।
সর্বশেষ আগামী ৫ মে আদেশের জন্য ধার্য তারিখ জানার পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেতা-কর্মীরা আদালতের প্রধান ফটক থেকে সরে আসে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী নগরীর সদর রোড ও ফজলুল হক এভিনিউতে অবস্থানকালে সেখানকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে তীব্র ভ্যাপসা গরমে নগর জুড়ে যানজটে সাধারণ মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
অপরদিকে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে বুধবার আদালতে মামলা করে জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস।
বুধবার দুপুরে বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিসিসি ২০২৩ এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক হাসিবুল হাসান মামলাটি পরবর্তীতে আদেশের জন্য রেখেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু না হওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইকবাল হোসেন তাপসকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে মামলায়। মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম সহ প্রতিদ্বন্দী ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
ইকবাল হোসেন তাপস জানান, তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাকে পরিকল্পিত ভাবে পরাজিত করার পর নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্বাচন বাতিল চেয়ে।
আমার বার্তা/এল/এমই