বায়ু দূষণের শীর্ষে এখন ঢাকার অবস্থান। রাস্তার ধুলোবালি, গাড়ির ধোঁয়া এবং দূষিত বাতাস ত্বক ও চুলের অনেক ক্ষতি করে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ত্বক ও চুলের বেশির ভাগ সমস্যার কারণই হল দূষণ।
তাই শরীর থেকে যেমন টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বার করা প্রয়োজন, তেমনই চুলও ‘ডিটক্স’ করা জরুরি। তা ছাড়া সূর্যের অতিবেগনি রশ্মিও চুলের ক্ষতি করে। চুল ‘ডিটক্স’ করতে বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই ঘরোয়া উপায়ে চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে পারবেন। চুলের যত্ন মানে কেবল শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার নয়। ‘ডিটক্স’ করতে হলে নানা রকম হেয়ার মাস্কও জরুরি। তবে তা কেনার দরকার নেই। বাড়িতে থাকা কয়েকটি উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন। জেনে নিন কী ভাবে তৈরি করবেন চুলের ‘ডিটক্স’ মাস্ক।
নারকেল ও মধু
চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। আর মধুর তো গুণের অন্ত নেই। তাই চুলের ডিটক্স মাস্ক হিসেবে এই দু’টি উপাদানই খুব ভাল। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী সম পরিমাণে নারকেল তেল এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার তালুতে মালিশ করতে হবে। আধ ঘণ্টা রেখে ঈষদুষ্ণ পানিতে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।
চারকোল ও দইয়ের মাস্ক
চুল থেকে ধুলোবালি দূর করতে ও চুলের গোড়া মজবুত করতে অনেকেই এখন চারকোল ব্যবহার করছেন। ৩ চা চামচ চারকোল পাউডারের সঙ্গে ২ চা চামচ টকদই মিশিয়ে নিন। পুরো চুলে এই মিশ্রণে ভাল করে মালিশ করুন। এই মিশ্রণ লাগানোর আগে খেয়াল রাখবেন চুলে যেন তেল দেওয়া না থাকে। এর পর চুল ভালভাবে ধুয়ে নিন।
বেকিং সোডা
দূষণ থেকে চুল বাঁচাতে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চা চমচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর ভাল করে চুল ধুয়ে ওই বেকিং সোডা মেশানো পানি দিয়ে শেষ বার চুল ধুয়ে নিন। এতে মাথার ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে। খুশকির সমস্যাও দূর হবে।
শসা ও লেবু
শসার রস এবং পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে চুল ও মাথার তালুতে মালিশ করুন। অথবা শ্যাম্পুর সঙ্গে এক চা-চামচ করে এই দুই উপাদান মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এই মিশ্রণ চুল ডিটক্স তো করেই, চুলের স্বাভাবিক জেল্লাও ফিরিয়ে আনে।