বাংলাদেশ থেকে আমদানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নিয়ে চলছে কূটনৈতিক দরকষাকষি। তবে এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “নেগোসিয়েশন এখনো চলমান। এই অবস্থায় আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে কিছু বললে তা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ উপলক্ষে মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা আগামী আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ শিল্পকে উৎসাহিত করার নীতি তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। আমি যেহেতু সরাসরি আলোচনার সঙ্গে যুক্ত নই, তাই বিস্তারিত বলতে পারি না। কিছু বিষয় থাকে যা কূটনৈতিকভাবে গোপন রাখতে হয়।”
এদিকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (গোপনীয়তা চুক্তি) রয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নন-ডিসক্লোজার চুক্তি থাকতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। এই চুক্তির আওতায় কিছু বিষয় গোপন রাখতে হয়। কী হবে, কী হবে না—তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।”
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির জবাবে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশ পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে আশাবাদী।
আমার বার্তা/এমই