
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সুরক্ষিত আছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যদিও অনেকে (সাংবাদিক) বলার চেষ্টা করেছেন মবের ভয়ে আছি। আমি তো এটা দেখি না। যিনি এ কথা বলছেন তিনি হয়তো গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, যারা এটা বলছেন তাদের বেশিরভাগই দোসর ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে 'গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ইশতেহারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গ' শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই সংলাপের আয়োজন করে।
প্রেস সচিব বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি গত ১৫ মাসে আমরা কোন টিভি সংবাদপত্র মিডিয়ায় কোনরকম হস্তক্ষেপ করিনি। অন্তর্বর্তী সরকার ডিজিএফআই বা এনএসআই দিয়ে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করেনি।
গত ৫৪ বছরে একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সাংবাদিকরা সত্যিকারের স্বাধীনতা ভোগ করেছেন বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গত ১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় ইস্যু ছিল মিথ্যা নিউজ বা অপতথ্য রোধ করা। সেন্টমার্টিন দখল হয়ে গেছে বলে শত শত মিথ্যা নিউজ হয়েছে। অনন্যা ইস্যুতেও প্রচুর মিথ্যা নিউজ ছড়ানো হচ্ছে।
শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সাংবাদিকতা তলানিতে ঠেকিয়েছিল। সে জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
সিজিএস এর প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সিজিএস'র নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ড. সাইমুম পারভেজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুর মঈন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া, সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, এবি পার্টির
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা মিলি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ ও প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল।
আমার বার্তা/এমই

