ই-পেপার রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

বৈশ্বি প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জের বিষয়সমুহ

কমল চৌধুরী:
০৩ জুলাই ২০২৪, ১৮:১৭
আপডেট  : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৮:২৮

মূল্যস্ফীতি : কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুপ অর্থনৈতিক প্রভাবকে অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা করে সরকার প্রবৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধার করতে পারলেও বিশ্বব্যাপী গত দু-বছরের ভ’-রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের নতুন ঝুঁকির সম্মুখীন করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে ঐ বছরের জুন মাস নাগাদ বিশ্ব বাজারে ক্রুড জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার ছাড়িয়ে যায় এবং গম, সারসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের বৃদ্বি ঘটে।

বিশ্ব পণ্য বাজারের এ অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশে মূল্যস্ফীতি দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৯ শতাংশে পৌছায়।তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈশি^ক পণ্যের বাজারে সরবরাহ ঘাটতির যে আশংকা করা হয়েছিল তা পরবর্তীতে অনেকটাই প্রশমিত হয়ে আসায় জ¦ালানি তেল,গ্যাস,সার,গম,ইত্যাদির মূল্য বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমে এসেছে।এপ্রিল ২০২৪ এর হিসেব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩.৪৭ এবং ৪.৮৩শতাংশে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এ বছরের এপ্রিল মাসের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বৈশি^ক গড় মূল্যস্ফীতি কমে আসার সাম্প্রতিক প্রবনতা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনও ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। যদিও দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি বাংলাদেশে এ উচ্চ মূল্যস্ফীতির একটি প্রধান কারণ, তবে আরেকটি অন্যতম কারন হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমুল্যায়ন। ২০২১-২২ অর্থবছরে কোভিড ১৯ অতিমারির প্রকোপ কমে এলে ব্যবসা-বানিজ্যে গতি ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ঐ বছরে বানিজ্য ঘাটতি ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাথে টাকার বিনিময় হারের উপর চাপ তৈরি হয়। গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই মাসের শেষে ছিল ৩৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা চলতি বছরের মে মাসের শেষে কমে ২৪.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।মুদ্রা বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখতে গিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই হতে এ পর্যন্ত রিজার্ভ হতে প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে ছাড়তে হয়েছে। ফলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে জুলাই ২০২২ হতে চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত মার্কিন ডলাররের বিপরীতে টাকার প্রায় ২৫.৫ শতাংশ অবমুল্যায়ন ঘটেছে যার ফলে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এভাবে আমদানিজনিত মূল্যবৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির উপর।

সুদের হার : সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট, যা বিশ্বে সুদের হারের অন্যতম রেফারেন্স রেট হিসেবে ব্যবহৃত হয়,২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে ছিল মাত্র ০.৫ শতাংশ।তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় সকল উন্নত দেশ তাদের সুদের হার পর্যায়ক্রমে বাড়াতে থাকলে ৬ মাসের গড় হিসেবে সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট বৃদ্ধি পেয়ে চলতি অর্থবছরের মে মাস নাগাদ প্রায় ৫.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।ইউরোপসহ অন্যান্য উন্নত দেশেও একই কারণে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে EURIBOR, TONA ইত্যাদি রেফারেন্স রেটের ক্ষেত্রেও।

ফলে বাংলাদেশকে দুই ধরনের চাপ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলধনের বহিপ্রবাহের গতি বৃদ্ধিও পাশাপাশি অন্তঃপ্রবাহও কমার প্রবনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে একদিকে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বাড়ছে, অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের দায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ বাৎসরিক ব্যয় ১ বিলিয়ণ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশে সুদের হার সামনের দিনগুলোতে কমে আসার যে পূর্বাভাস রয়েছে, তা সঠিক না হলে এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

রাজস্ব আহরনের প্রবৃদ্ধি : সরকারী ব্যয় সক্ষমতা বাড়াতে হলে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।বাংলাদেশ এ দিক থেকে সমতুল্য অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।বাংলাদেশের কর জিডিপি অনুপাত ৮ শতাংশের নিচে রয়েছে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে কর- জিডিপি অনুপাত ছিল যথাক্রমে ১৬.৯৮,১১.৫৯,১৪.০৩ এবং ১৫.৫৭ শতাংশ। মধ্যমেয়াদে আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ পূরণ করতে হলে ১০ শতাংশের বেশি কর-জিডিপি অনুপাত অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।

পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন : বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি আমাদের প্রবাসী কর্মীগণ। তাদের প্রেরিত কষ্টার্জিত প্রবাস আয় এদেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন-যাত্রার মানের প্রভ’ত উন্নতি করার পাশাপাশি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করছে। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ,রোবট এবং অন্যান্য যন্ত্রনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থায় যে যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা আমরা দেখতে পাচ্ছি তা আমাদের স্বল্পদক্ষ এবং অদক্ষ প্রকৃতির বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগকে আগামীতে ক্রমান্বয়ে সংকোচিত করতে পারে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাই আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য ভবিষ্যতের বৈশি^ক কর্মপরিবেশে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের উপযোগী পরিবেশ এখন থেকেই তৈরি করার উদ্যোগ নিতে হবে।একই সাথে আমাদের কর্মক্ষম জনগনের জন্য বৈশি^ক চাহিদা অনুযায়ী তাদের দক্ষতার Smooth Transition Stratcgy (STS) এর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন : পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশ একেবারে নিম্নসারিতে থাকলেও নিম্ন ব-দ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের দিক থেকে বাংলাদেশ সর্ব্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।জার্মানওয়াচ কর্তৃক প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেস্ক ২০২১ অনুসােের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সব চাইতে ঝুঁকির মুখে যে সকল দেশ রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলবায়ু –উদ্ভাস্তু মানুষের সংখ্যা,সমুদ্র পৃষ্ঠেরে উচ্চতা ও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে কৃষি জমি ও কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, গত ৬ জুন চলমান বাজেট অধিবেশনে বক্তব্যে বলেন,এ বিবেচনায় আমরা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করছি। ইতোমধ্যে National Adaptation Plan (NAP), Mujib Climate Prosperity Plan (MCPP), Nationaly Determined Contribution (NDC) এবং বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ইত্যাদি প্রণয়ন করা হয়েছে।।উল্লেখ্য যে,সংসদে ২০২৪-২০২৫ বাজেট অধিবেশনে গত ৩০ জুন বাজেট পাস হয়েছে।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ : অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের দিশারি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে গত দেড় দশকে দেশ বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশের অর্জন অতুলনীয়।এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আনুষ্ঠানকিভাবে আমাদের উত্তরণ ঘটবে। তবে এ উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক বানিজ্যের সকল নিয়ম-কানুন অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মত সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। আমাদের দেশে প্রস্তুতকৃত পণ্য বর্তমানে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রেফারেনসিয়াল শুল্কে ও কোটামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পেয়ে থাকে যা উত্তরণের পর ক্রমান্বয়ে হ্রাস হবে। রপ্তানিতে যে নগদ প্রণোদনা প্রদান করা হয় তাও পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং একই সাথে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে।এর ফলে দেশে প্রস্তুতকৃত যে সকল পণ্য উচ্চ আমদানি শুল্কের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষণ সুবিধা পেয়ে আসছেআগামীতে তারা মুক্ত প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হবে। পরিবর্তিত এ বাস্তবতায় স্থানীয় শিল্পকে নজেদের দক্ষতা ও কৌশল দিয়েই বহির্বিশে^র সাথে প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদনে নতুন ও উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার,পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন, নতুন পণ্য উদ্ভাবন, এবং কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্পপণ্যের প্রতিযোগীতার সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্রায়ন ও পণ্যের বহুমুখীকরণে যথাযথ নীতি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশথেকে বাংলাদেশের উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।সে উদ্দেশ্যে অর্থাৎ স্বল্পোন্নত দেশ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রতিক’ল অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য Smooth Transition Stratcgy (STS) প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে।উক্ত কমিটি এবং তার অধীনে গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন কৌশল নিরুপণ করেছে, যার ভিত্তিতে উত্তরনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

এবারের বাজেটের খাতভিত্তিক পরিকল্পনা এবং মধ্যমেয়াদি নীতি-কৌশল:

মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে বিদ্যমান উচ্চ সুদের হার ,বৈদেশিক মুদ্রর পরিবর্তে টাকার অবচিতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে খাপ খাইয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উন্নত,টেকসই, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের বিবৃত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হবে আমাদের এবারের বাজেটের খাতভিত্তিক এবং মধ্যমেয়াদী নীতি-কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে ইতোমধ্যে অন্যান্য দেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্চে এবং এর অংশ হিসেবে সুদের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। নীতি সুদ হার ৮.৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং নীতি সুদ হার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি । (SLF) ১০ শতাংশের ও নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (SDF) ৭ শতাংশে উন্নীত করে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ছয় মাস মেয়াদী ট্রেজারি বিল ভিত্তিক সুদের হার নির্ধারণের ব্যবস্থা (SMART) বিলুপ করে সুদের হার বাজার ভিত্তিক করা হয়েছে। ব্যাংকখাতে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের যোগানসাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদ হার নির্ধারিত হবে। মূদ্রস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য এর পাশাপাশি রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতি-কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ফ্যামিলি কার্ড ও এমএস ইত্যাদি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।আমাদের গৃহীত এসব নীতি- কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে কিছুটা চাপের সম্মুখীন হলেও প্রাজ্ঞ ও সঠিক নীতি-কৌশল বাস্তবায়নের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতিধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭১ শতাংশ, যা বিশ্বের সকল দেশের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ।উল্লেখ্য কোভিড ১৯ অতিমারির পূর্বের বছরে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড ৭.৮৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট এবং অন্যান্য বৈশি^ক অস্থিরতার ফলে সৃষ্ট সকল প্রতিক’লতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭.১০ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫.৭৮ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫.৮২ শতাংশ (সাময়িক) প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে যা আমাদের অর্থনীতির অন্তর্নিহিত শক্তির পরিচায়ক। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ গতি আগামীওত ধরে রাখার লক্ষ্যে কৃষি ও শিল্পখাতের উৎপাদন উৎসাহিত করতে যৌক্তিক সকল খাতের সহায়তা চলমান থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্তপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং রপ্তানী ও প্রবাস আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ কাঙ্খিত মাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। আশা করছি আমাদের এ সকল প্রাজ্ঞ নীতি-কৌশলের সুফল হিসেবে আগামী অর্থবছরে ৬. ৭৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে এবং মধ্যমেয়াদে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭.১৫ শতাংশে পৌঁছাবে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪ )জুলাই-এপ্রিল সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৯৩ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে সাময়িকভাবে কম গুরুত্তপুর্ণ ও বিলাসী আমদানি ভোগ্যপণ্য নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের আমদানি পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ১৫.৮১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরেও এ ঋণাত্বক ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং জুলাই মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমদানির পরিমান পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন,চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ২১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাস আয় দেশে এসেছে,যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯.৮২ শতাংশ বেশি।রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ,অপ্রয়োজনীয় আমদানীর পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং প্রবাস আয়ের গতি বিগত অর্থবছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডরার উদ্বৃত্ত রয়েছে। ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে পৎধষিরহম ঢ়বম পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে রপ্তানী উৎসাহিত হবে এবং অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাস আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। এবং হিসাবে এখনও ঘাটতি থাকলেও তাা মধ্যমেয়াদে কমে আসবে এবং এর ফলে আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে মর্মে আশা করছি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল হলে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হারেও স্থিতিশীলতা আসবে এবং তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতির আওতায় যুগপৎভাবে গৃহীত কার্যক্রমকে সাফল্যমন্ডিত করতে সহায়ক হবে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হলে রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা ও পরিমান বৃদ্ধি করা আবশ্যক। রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা ও কর ফাঁকির ক্ষেত্রসমূহ দূর করার জন্য ইতোমধ্যে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ,করজাল সম্প্রসারণ এবং কর আদায় ও রাজস্ব ব্যবস্থাাপনার অটোমেশন এবং হিউম্যান ইন্টারফেস কমানোর মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ জিডিপি’র ১০শতাংশে উন্নীত করার কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।আয়কর বৃদ্ধির জন্য রিটার্ন দাখিল ও কর প্রদান ব্যবস্থা সহজীকরণ এবং অনলাইন ভিত্তিতে প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। Document Verification System (DVS) চালুকারণ এবং Electronic Tax Deduction at Source (E-TDS) এর ব্যপ্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে আয়কর আদায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অদুর ভবিষ্যতে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ,বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্ত/অগ্রাধীকারমূলক বানিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং বিশ^-বানিজ্য সংস্থার শর্ত পরিপালন ইত্যাদি বিবেচনায় আমদানি পর্যায় থেকে আহরিত শুল্ক-করের পরিমান হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এ প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে আয়কর এবং মূল্য সংযোজন কর খাত হবে সরকারের অর্থ সংস্থানের মূল উৎস। সামগ্রিকভাবে সরকারের বিভিন্ন কর আদায়কারী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, কর আদায়ে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, কর দাতাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, আয়কর আইন ২০২৩ এর যথাযথ প্রয়োগ,শুল্ক আইন ২০২৩ কার্যকরকরণ এবং কর আদায়ে বেসরকারি খাতের সহযোগীতা গ্রহণ ইত্যাদি ব্যবস্থা সরকারের রাজস্ব আহরণের গতি বৃদ্ধি করবে বলে আমি মনে আশা করছি। সরকারের লক্ষ্য আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিনত করা। আগামী দেড় দশকের মধ্যে এ লক্ষ্য অর্জন করার জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো তৈরি,গবেষনা ও উদ্ভাবন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, রপ্তানী পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণ, সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ সেবা এবং সর্বোচ্চ মানের বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তাকে অন্যতম সর্বোচ্চ অগ্রাধীকার দিয়ে কৃষিখাতে বিদ্যমান সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। এ প্রেক্ষিতে এবারের বাজেটে আমরা শিক্ষা,স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতসমূহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। সম্পদ আহরণের সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য জরুরী। মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে আমাদের সমুদ্রসীমা যথাক্রমে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে নিস্পত্তি হবার প্রেক্ষিতে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণের যে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা আরও গতিময় হবে। আমরা তাই মৎস্য, সমুদ্র তলদেশের খনিজ সম্পদ ইত্যাদি আহরণসহ সুনীল অর্থনীতির (Blue Economy) সকল সম্ভাবনার সদ্ব্যবহারের উপর এবারের বাজেটে বিশেষভাবে জোর দিয়েছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে প্রযুক্তির যে গতিময় বিবর্তন আমরা দেখছি তা অভ’তপূর্ব। বিবর্তন আমাদের জন্য একদিকে অমিত সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে,আরেকদিকে creative destruction জনিত কারণে বেকারত্ব বৃদ্ধি, রপ্তানী পণ্যের বাজার সংকোচন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পায়নের ফলে কৃষি জমি হ্রাস ও দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি, সুপেয় পানির সরবরাহ হ্রাস ইত্যাদি ঝুঁকিও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সমস্ত ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা যে সকল কার্যক্রম ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি এবং আগামীতে গ্রহণ করব।

সংসদে অর্থমন্ত্রী আরো বলেছেন ,মূল্যস্ফীতি আমাদের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হওয়ায় এটি নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে চাহিদার হ্রাস টেনে ধরা এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করার দিকে আমরা বিগত বাজেটে সর্বাত্মক মনোযোগ নিবন্ধ করেছিলাম। এ প্রেক্ষিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সুফল পাওয়ার জন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরনের পাশাপাশি সহায়ক রাজস্বনীতি, অর্থাৎ ব্যায় হ্রাস, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণসহ বিভিন্ন কৃৃচ্ছ্রসাধণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও মূলত আমদানিজনিত মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটিজনিত কারণে দেশে মুদ্রাস্ফীতি অনমনীয়ভাবে ৯ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে। সেকারণে আগামী অর্থবছরের বাজেটে আমরা ফিসক্যাল কনসোলিডেশন তথা বাজেট ঘাটতি হ্রাস এবং সীমিত কলেবরে হলেও বাজেট belttightening তথা কৃচ্ছ্রসাধন অব্যাহত রাখবো। তবে, দীর্ঘমেয়াদে এ পন্থা অবলম্বন করা হলে প্রবৃদ্ধির গতি স্লথ হয়ে যেতে পারে, সে কারণে আমাদের লক্ষ্য থাকবে আগামী অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে সরকারি ব্যয় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা। এটি সম্ভবপর হবে যদি রাজস্ব আদায়ের পরিমান বৃদ্ধি করা যায়। সে লক্ষ্যে আমরা কর অব্যাহতি ক্রমান্বয়ে তুলে নেয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির দিকে নজর দেবো।বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনার দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট,সমৃদ্ধ এবং সুখী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।অর্থনৈতিক সমস্যা ও সম্ভাবনার বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় উক্ত স্বপ্ন পূরণের নীতিকৌশরল কি হবে তা ”মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি-বিবৃতি”তে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি।

আমার বার্তা/কমল চৌধুরী/এমই

বাজেটে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক-কর

উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ । কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ক্রমান্বয়ে শিল্পোন্নয়ন

রাখাইনে সংঘাত ও সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির (এ এ) সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান যুদ্ধের কারনে গোলাগুলি ও

আড্ডা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ

বাংলাদেশে আড্ডা একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধুমাত্র

বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রভাব ও বাস্তুচ্যুতি সংকট

সবারই ইচ্ছা থাকে চিরচেনা গণ্ডিতে জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু পরিস্থিতি ও দুঃসময় মানুষকে ভালো- বাসার
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাপের কামড়ে আহত কৃষক ঢাকা মেডিকেলে

পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই

চট্টগ্রামে আবারও সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না: আব্বাস

অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা

রাজউকের নির্মাণ বিধিমালা না মেনে নির্মিত হচ্ছে ইমারত

খিলগাঁওয়ের বাসায় ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

ফল ও সবজি রাসায়নিকমুক্ত রাখুন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ রাখুন

যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ

কর্মে প্রবেশ করলেও কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান মেলে না ২ মিলিয়ন তরুণের

কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

অপপ্রচারের বিপক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের অবস্থান নিতে হবে

এবারের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না: আমীর খসরু

ডিএনএর জন্য চিঠি এসেছে, স্যাম্পল দিতে শিগগির কলকাতায় যাবো: ডরিন

স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট সমবায় গড়ে তোলা হবে: প্রতিমন্ত্রী

সারাদেশে বাংলাব্লক ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

চুকনগর বধ্যভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

বর্ষায় চুরি করে রাস্তা খনন করছে ওয়াসা-তিতাস: মেয়র তাপস

কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শাহবাগ মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের

বেনজীরের ১০ কোটি টাকার বাংলো বাড়ি জব্দ