‘এক-এগারো’ হিসেবে পরিচিত ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশে ‘বিরাজনীতিকরণের’ যে পরিকল্পনা হয়েছিল, তা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও চলছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এক-এগারোর যে পরিকল্পনা—বিরাজনীতিকরণ, সেই সমস্যা আজকে কিন্তু আমি আবার নতুন করে দেখি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার (এক-এগারোর) একটি ইঙ্গিত আজকে নতুন করে এখানে চলে এসেছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে আজকে আমরা যে প্রশ্ন নিয়ে (সংসদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাই) এখানে আলোচনা করতে এসেছি, সেগুলো কিন্তু ভেস্তে যাবে।
দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন আবদুল মঈন খান। ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাই’ শীর্ষক এই সংলাপের আয়োজন করে স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলতেই থাকবে, অন্য কোনো কাজ হবে না— এটা তো হতে পারে না। সংস্কার শেষ করে তারপর নির্বাচন হবে— এটা যুক্তির কথা হতে পারে না।
তিনি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় যে সংস্কারগুলো রয়েছে, সেগুলো করতে হবে। নির্বাচনের পরেও তো সংস্কার হতে পারে। আজকে সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দলবাজি করে কর্মী নিয়ে রাস্তায় হাঁটলে চলবে না, কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। জনগণের মন জয় করেই নেতা হতে হবে।
দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে নির্বাচন দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো এবার প্রার্থী নির্বাচনে যত্নশীল হবে।
সেলিমা রহমান আরও বলেন, সত্যিকারের নারী ক্ষমতায়নের জন্য সরাসরি নির্বাচনে কত শতাংশ নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তা পরিষ্কার করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।
আমার বার্তা/এমই