বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে। এটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি। একটিও কারণ নেই ডিসেম্বরের বাইরে নির্বাচন যাওয়ার। সংস্কার ও নির্বাচন চলমান প্রক্রিয়া।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংস্কার হবে। সংস্কার আমাদের প্রধানতম এজেন্ডা। তার থেকে বেশি জরুরি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিচার, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। সবাইকে কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হবে, এটা আমাদের সর্বোচ্চ এজেন্ডা। কিন্তু নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষকে এই ডিসেম্বরের মধ্যে দেবেন বলে যে আশ্বস্ত করেছিলেন আমাদের সামনে, পরবর্তীতে সরে গেলেন। সেটা ঠিক করেননি।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার একটিও কারণ নেই আপনার সামনে, যুক্তি নেই, কেন আপনি ডিসেম্বরের বাইরে গিয়ে নির্বাচন দেবেন। সেটার পক্ষে একটিও যুক্তি নেই। কিন্তু শুধু বলেন ডিসেম্বর থেকে জুন। কেন! আছর পড়েছে আপনার? যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে থাকতে হবে!
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার জন্য আনুষ্ঠানিকতার কমতি নেই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই নেই তাদের।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যারা নির্বাচন চায় না, তারা বিএনপি নেতাদের দেশদ্রোহী ও অন্য দেশের এজেন্ট বলছে। ১৭ বছরের ত্যাগের প্রতিদান দিচ্ছে একটি মহল। ফ্যাসিবাদের কুটচালে জাতির মধ্যে একটি গোষ্ঠী বিভেদ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ বিএনপির এই নেতার।
আমার বার্তা/এমই