
কোরআন ও হাদিসে দান করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সব থেকে বেশি দান করতেন এবং অন্যকেও দান করতে উৎসাহিত করতেন।
মহানবী (সা.)-এর কাছে কেউ কিছু চাইলে তিনি তাকে ফিরিয়ে দিতেন না। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কোনো কিছু চাওয়া হলে তিনি কখনো ‘না’ বলতেন না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩১১)
তিনি নিজের প্রয়োজনের চেয়ে অন্যের চাওয়া ও প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিতেন। সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক নারী মহানবী (সা.)-এর কাছে একখানা বুরদাহ নিয়ে এসে আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনাকে এটি পরার জন্য দিলাম। নবী (সা.) চাদরখানা এমনভাবে গ্রহণ করলেন, যেন তার এটির দরকার ছিল।
এরপর তিনি এটি পরলেন। একজন সাহাবি সেটি তার দেহে দেখে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, এটা কতই না সুন্দর! আপনি এটি আমাকে দিয়ে দিন। নবী (সা.) বললেন, হ্যাঁ, (দিয়ে দেব)। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০৩৬)
এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার কাছে যদি উহুদ পাহাড়ের সমান সোনা থাকত, তাহলেও পছন্দ নয় যে তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তার কিছু অংশ আমার কাছে থাকুক। তবে এতটুকু পরিমাণ ছাড়া, যা আমি ঋণ পরিশোধ করার জন্য রেখে দিই। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৩৮৯)
মহানবী (সা.) দানকারীর জন্য দোয়া করেছেন। এক ব্যক্তি তার কাছে সদকার উট নিয়ে এলে তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি তার উটে বরকত দান করুন। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৪৫৮)
দানকারী ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেছেন যে ব্যক্তি দান করেন, ফেরেশতারা তার জন্য কল্যাণের দোয়া করেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—
প্রতিদিন ভোরে দু'জন ফেরেশতা নাজিল হয়। তাদের একজন এ দোয়া করতে থাকে যে, হে আল্লাহ, আপনি ব্যয়কারীকে প্রতিফল দিন। আরেকজন দোয়া করে যে, হে আল্লাহ, যে ব্যয় করে না তার সম্পদ ধ্বংস করে দিন। (বুখারি, হাদিস : ১৪৪২, মুসলিম, হাদিস : ১০১০)
আমার বার্তা/জেএইচ

