রাজধানীর পল্লবী থানার মাদ্রাসা ক্যাম্প এলাকায় বাসায় কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে হাত-পা- মুখ বেঁধে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাগর (২৪) ও তার সহযোগী ফজলে রাব্বিকে (২১) আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালের দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানান, আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। সকাল দশটায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এক যুবক আমাকে বলে বাসায় কাজ দিবে এই বলে সে আমাকে একটি বাসায় নিয়ে যায় এবং সে বলে আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের চাকরি করি। পরে সেখানে সে লাইট বন্ধ করে আমার হাত-পা বেঁধে আমাকে দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা উদ্ধার করে মিরপুর পূরবী এলাকায় একটি হসপিটালে নিয়ে যায়। এরপর আমার পরিবারকে খবর দেওয়া হয় এবং থানা পুলিশকে খবর দিলে ওইখান থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সে আরো জানায়, প্রথমে আমাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠায় পরে সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে আবার আমাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায় চিকিৎসক। আমার এখনো ভর্তি হয়নি থানা থেকে পুলিশ না আসায় আমাদের ভর্তি নিচ্ছে না। আমাদের বাসা পল্লবী থানার কালাপানি এলাকার বি-ব্লকের ২ নম্বর লাইনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত সাগর ও তার সহযোগী ফজলে রাব্বিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। আটক দুইজনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই