রাজধানীর লালবাগের আজিমপুর ইরাকি কবরস্থানের পাশের একটি বাসা থেকে বেঞ্জির আহমেদ রোজ(১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থী রোজ আজিমপুর ইরাকি কবরস্থানের পাশে ১৩৯/নিউ পল্টন এলাকার বশির আহমেদ শিশিরের মেয়ে ।
সে মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
বুধবার (২৬মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২ টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিক্ষার্থীর মামা ফেরদৌস আলম সায়েম জানান, আমার ভাগ্নি মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ থেকে এবার ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। এরই মাঝে গত মাসে নিজের পছন্দে বিয়ে করে আমার ভাগ্নি।পারিবারিক কলের জেরে গত দুই তিন দিন আগে আমার ভাগ্নি ঝগড়া করে ইরাকি কবরস্থানের পাশে আজিমপুর নিউ পল্টনের নিজেদের বাসায় চলে আসে। এরপর গতরাতের দিকে কাউকে কিছু না বলে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়ে। পরে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেই।
নাজমুল হোসাইন জানান, আমরা খবর পেয়ে আজিমপুরের নিউ পল্টনের ইরাকি কবরস্থানের পাশে একটি বাড়ির সাত তলা থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত থাকা অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান ওই নারীটি আর বেঁচে নেই।
এসআই আরও জানান, নিহতের পরিবারের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় গত এক মাস আগে নিজের পছন্দে বিয়ে করেন বেঞ্জির আহমেদ রোজ। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের সাথে তার বনিবনা হচ্ছিল না। তাই সে কয়েকদিন আগে নিজেদের আজিমপুরের মায়ের বাসায চলে আসে। এটি কি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই নাজমুল হোসাইন।