কল ছাড়লেই বের হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি ও পোকা। এ পানি পান না করলেও বাধ্য হয়ে বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছে মানুষ। গত এক সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থা রাজধানীর কল্যাণপুর, মগবাজার ও মধুবাগে। বাসা-বাড়ির পানির ট্যাংক পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানিতে পোকামাকড়ের উৎস ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ।
মধুবাগের এক বাসিন্দা জানান, এই পানিতে গোসল ও রান্না করতে সমস্যা। বাসার ছেলে-মেয়েরা পানি পান করতে চায় না। পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। আরেক বাসিন্দা জানান, পানির ট্যাংক পরিষ্কার করলে ১০-১৫ দিন একটু ভালো থাকে। পরে আবার পোকা আসতে থাকে।
কল্যাণপুরের এক বাসিন্দা জানান, গত দেড় মাস ধরে পানি একদম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ। আগে ওয়াসার লাইনের পানি ফুটিয়ে পান ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা যেত। এখন ট্যাপ ছাড়লেই পানিতে পোকা আসছে। ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে চালিয়ে নিচ্ছি।
ভুক্তভোগীরা জানান, ময়লা পানি ব্যবহারের কারণে হরহামেশাই দেখা দিচ্ছে পেটের অসুখ ও চর্মরোগ।
পানিতে ময়লা ও পোকার বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, মধুবাগ এলাকায় যান তাদের তিনজন কর্মকর্তা। কয়েকটি বাসা থেকে সংগ্রহ করা পানির নমুনায় পোকা উপস্থিতি দেখতে পান তারা। এ জন্য দায়ী করেন ট্যাংক পরিষ্কার না করাকে।
ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ঠিকমতো ট্যাংক পরিষ্কার না করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। লাইনের পানি পরিষ্কার আছে, ট্যাংক ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তবে বাসা-বাড়ির পানির ট্যাংক ঠিকমতো পরিষ্কার না করার অভিযোগ নাকচ করছে এলাকাবাসী। এ অবস্থায় ওই এলাকায় ওয়াসার পানির পাইপের মান পরীক্ষা করে দেখার আশ্বাস দেন পরিদর্শনে আসা ওয়াসার কর্মকর্তারা।
আমার বার্তা/জেএইচ