যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে যেতে বি ১/বি ২ ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ভারতের এক নাগরিক। তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকে সাধারণ ৩টি প্রশ্ন করেছিল মার্কিন দূতাবাস এবং সেসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও সাক্ষাৎকারের মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে তার আবেদন বাতিল করে দিয়েছে দূতাবাস।
এতে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়েছেন সেই ভারতীয়, যিনি ভারতে একটি সম্মানজনক চাকরি করেন এবং ঝামেলাবিহীন পরিষ্কার ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়েই ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেড্ডিটে সেই হতাশা প্রকাশও করেছেন তিনি।
রেড্ডিট পোস্টে ভারতের ওই নাগরিক বলেন, “আমাকে তিনটি প্রশ্ন করেছিল দূতাবাস— ‘আপনি কেন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে চান?’ ‘আপনি কি এর আগে কখনও ভারতের বাইরে সফর করেছেন?’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রে কি আপনার বন্ধু কিংবা পরিবারের সদস্যদের কেউ থাকে?”
“জবাবে আমি বলেছিলাম, আমে এর আগে কখনও ভারতের বাইরে সফরে যাইনি। তবে ফ্লোরিডায় আমার গার্লফ্রেন্ড থাকে এবং তার সঙ্গে আমার দেখা করতে চাই। এর পরপরই আমাকে জানানো হলো যে আমার আবেদন বাতিল করা হয়েছে।”
রেড্ডিটে পোস্টটি প্রদানের পর সেটির কমেন্ট বিভাগে ওই ভারতীয়কে স্বান্তনা জানিয়েছেন অনেক নেটিজেন। কোথায় তার ভুল ছিল, তা ও ধরিয়ে দিয়েছেন তারা।
একজন নেটিজেন বলেছেন, “আপনার আবেদন বিধিসম্মতভাবেই বাতিল করা হয়েছে এবং এটি দুর্ভাগ্যজনক। আপনি অতীতে দেশের বাইরে সফরে গেছেন— এমন কোনো রেকর্ড নেই এবং আপনার গার্লফ্রেন্ড যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। এ কারণে দূতাবাস স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর আপনার আর ভারতের ফেরার কোনো কারণ নেই।”
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রত্যাখ্যানের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল নিজের দেশের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক প্রদর্শনে ব্যর্থতা। এই সম্পর্কগুলোর মধ্যে স্থিতিশীল কর্মসংস্থান, সম্পত্তির অভাব অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে স্থিতিশীল কর্মসংস্থান থাকা সত্ত্বেও ওই ভারতীয়র বিদেশে ভ্রমণের রেকর্ড না থাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভালবাসার সঙ্গীর অবস্থানের ব্যাপারটিকে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এতে ওই ব্যক্তির আর ফিরে না আসার ঝুঁকি রয়েছে।
কমেন্ট বিভাগে এক নেটিজেন বলেছেন, “প্রেমিকা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন— এই তথ্য দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না। আপনি বলতে পারতেন যে আপনার একজন বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।”
আরেক নেটিজন বলেছেন, “আপনার অতীতে বিদেশে ভ্রমণের রেকর্ড নেই। এটা একটা সমস্যা। আপনি বরং এশিয়া-ইউরোপের দু’তিনটি দেশে আগে ভ্রমণ করুন, তারপর ফের মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করুন।”
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
আমার বার্তা অনলাইন
আমার বার্তা/জেএইচ