
পেশাগত ঝুঁকি, নিরাপত্তাহীনতা ও অবহেলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জোরদারের প্রত্যয়ে সাংবাদিকদের এক মিলনমেলায় রূপ নেয় সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন-এর বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ ও বনভোজন–২০২৫। এটি ছিল শুধু বিনোদনের আয়োজন নয়; বরং সাংবাদিক সমাজের সংহতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অধিকার রক্ষার এক দৃঢ় বার্তা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার পুবাইল এলাকায় অবস্থিত হিজল-তমাল রিসোর্টে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে আগত প্রায় ৪২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মিলনমেলাটি পরিণত হয় সাংবাদিক সমাজের এক বৃহৎ সম্মিলনে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিকতা আজ দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলোর একটি। পেশাগত মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে সংগঠিত শক্তির কোনো বিকল্প নেই।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আজম খাঁন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকার সংগঠক এবং দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও প্রকাশকরা। তাঁদের উপস্থিতি আয়োজনকে কেবল উৎসবমুখরই নয়, বরং তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রতিবাদী মাত্রা প্রদান করে।
দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংগীত ও আবৃত্তি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য ছিল পরিপূর্ণ আপ্যায়নের ব্যবস্থা—সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সুসংগঠিত খাবার ও বিশ্রামের আয়োজন।
আয়োজকরা জানান, কর্মব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ সাংবাদিক জীবনের চাপ থেকে সাময়িক বিরতি এনে এমন মিলনমেলা সাংবাদিকদের মানসিক শক্তি জোগায়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করার অনুপ্রেরণাও সৃষ্টি করে।
দিনশেষে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন—সাংবাদিকদের সুরক্ষা, কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই ফাউন্ডেশন যেন আয়োজনের পাশাপাশি মাঠের বাস্তব লড়াইয়েও আরও কার্যকর ও দৃশ্যমান ভূমিকা রাখে।
আমার বার্তা/এমই

