আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম রাফাকে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এনে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে ‘কথিত’ প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত হওয়া অস্ত্র বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম রাফাকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে গেলে ভোলার ইলিশায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
তিনি জানান, এদিকে আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে পানি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, উদ্ধার বিদেশি পিস্তলটি পাঁচ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র।
এর আগে গত শনিবার রাতে নিহত শাহিদা ইসলাম রাফার মা জরিনা বেগম শ্রীনগর থানায় ‘কথিত’ প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করেন।
নিহত শাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মোতালেবের মেয়ে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আমার বার্তা অনলাইন:
আমার বার্তা/এমই