কিশোরগঞ্জের ভৈরবের পাইকারী কাপড়ের হাটটি দিনদিন দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও , এখানে ব্যাবসায়ী ও ক্রেতাদের ভয়ের কারন হয়ে দাড়িয়েছে ছিনতাই ।
গতকাল ( ৩ডিসেম্বর) আনুমানিক ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুটিয়াদি এলাকার (২ব্যবসায়ী) মোঃ জহির মিয়া ও মোঃ আনার মিয়া মালামাল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রিক্সা আটকিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায় ব্যবসায়ীরা প্রতি মঙ্গলবার রাতে ভৈরবের পাইকারী কাপড়ের হাটে আসে ,তার প্রেক্ষিতে গতরাতে কাপড় কিনে ফেরার পথে শহরের এম পি পাইলট গার্লস স্কুলের সামনে কয়েকজন যুবক তাদের রিক্সা গতিরোধ করে তাদেরকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাথে থাকা নগদ অর্থ (২০০০০)এবং ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে বন্দরনগরী ভৈরবে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে ভৈরব লঞ্চঘাট এলাকার সাপ্তাহিক কাপড়ের হাট,মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকেই কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারে এ হাট বসতে শুরু করে যা চলে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত। শহরের বাগানবাড়ি, বাদামপট্টি, নদীরপাড়, ছবিঘর শপিংমল রোড, জিল্লুর রহমান শহর রক্ষা বাঁধ রোড, ভৈরবপুর,জামে মসজিদ রোড ও কাচারি রোড জুড়ে এই হাটের ব্যাপ্তি। টি-শার্ট, জিন্স, শার্ট, জার্সি, লুঙ্গি, গামছা, গেঞ্জি, বোরকা, ওড়না, ছোটদের জামা, পায়জামা-পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক নিয়ে রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করে বসে এই হাট।
রাতের এই বাজারে এসব পোশাকের অন্তত ৮শতাধিক দোকান বসে। পাইকারি ও খুচরা এসব পণ্যের দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এ কারণে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতার সংখ্যাই এখানে বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জসহ হাওর এলাকার দোকানদাররা পাইকারি দরে কাপড় কিনে এখানে খুচরা দোকানে বিক্রি করেন। এর পাশাপাশি খুচরা ক্রেতারাও আসেন পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতে। এক রাতে প্রায় কোটি টাকার বেচাকেনা হয় এই বাজারে। কিন্তু রাতের বাজারে প্রধান চিন্তার বিষয় ছিনতাই, দূরদূরান্ত থেকে হাটে আসা ক্রেতাদের প্রায়ই পরতে হয় ছিনতাইকারীর কবলে।
এই বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিন জানান মঙ্গলবার এবং বুধবারের বাজারের বিষয়টি আমরা বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখছি, ছিনতাই রুখতে আমাদের টিম মাঠে আছে।
এ বিষয়ে ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি জাহেদুল হক জাবেদ জানান,বাজারের সুরক্ষায় সম্পূর্ণ বাজার সিসি ক্যামেরা আওতাধীন আনা হবে এবং প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে কমিউনিটি পুলিশ এর ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা দেখা হবে।