ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর এই গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
এদিন বিকেলে ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমরসহ অন্য আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে ঝালকাঠি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। আইনজীবীদের শুনানী শেষে ঝালকাঠি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে ১ম আদালতের বিচারক মিরাজুল ইসলাম রাসেল জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যন অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, ইউপি সদস্য মো রাসেল ও তাওহীদকে এবং তরিকুল ইসলাম সুমন।
২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর রাজাপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর রাজাপুর উপজেলা বিএনপি অফিসে হামল, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ ৫৩ জনকে আসামি করে চলতি বছরের ২২ নভেম্বর রাজাপুর থানায় বিষ্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আ্যডভোকেট নাসির উদ্দীন কবির জানান, রাজাপুরের একটি বিষ্ফোরক মামলায় পুলিশ দৃশ্যত গ্রেপ্তারের আবেদন করে। সে আবেদন মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার দিন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ঢাকায় ছিলেন।
আদালতের এজলাস থেকে বের হয়ে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত সময়ে আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। আমি জনগণের ভোটে আবার এমপি হবো লিখে রাখ।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর মামলায় সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আমার বার্তা/এমই