মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা ইমামপুর ইউনিয়ন ষোলআনি বেরু মোল্লাকান্দি গ্রাম এলাকায় মেঘনা নদীতে নীতি বহির্ভূত অবৈধ বালু উত্তোলনে ফসলি জমি নদীর তলদেশে বিলীন হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী বেরু মোল্লা কান্দি গ্রামের কৃষকদের। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর দাবি বালু উত্তোলন বন্ধসহ ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় মেঘনা নদীর তীরে বিলীন হওয়া ফসলি জমি এলাকায় মানববন্ধন সহ প্রতিবাদ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগীসহ সর্বস্তরের গণমানুষ।
অবৈধ ভাল উত্তোলনে প্রতিবাদ করতে গিয়ে একই গ্রামের ফারুক ও শরিফ মোল্লা সহ একাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্য থেকে মেরু মোল্লা কান্দি গ্রামের মেসফা বেগম (৫৫) মাহমুদা (৪৫) ও সাহিদা (৪০) অনেক নারী পুরুষ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান ১৫ লক্ষ টাকা বিঘা ক্রয় করা ফসলি জমি অবৈধ বালু উত্তোলনে নদীর তলদেশে।
প্রতি বৎসর আমরা এই জমি থেকে আলু খিরা, বাদাম চাষ করে অর্ধল লক্ষ থেকে লক্ষ টাকা রোজগার করেছি। এখন সেই জমি ১০ থেকে ১২ হাত পানির নিচে। বর্ষা মৌসুমে দিনের বেলায় গ্রাম ঘেষে অবৈধ বালু উত্তোলনে আমাদের জমি বিলীন হয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে একাধিক বার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ জিন্না এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছি। বালু উত্তোলন বন্ধ হয় নাই। নদীতে বিলীন হওয়া কৃষক পরিবার ক্ষতির দাবি করছেন স্থানীয় প্রশাসনের নিকট। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছেন অবৈধ বালু মহল নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে রসুলপুর গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের একাধিক ব্যক্তি।
অপরদিকেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ফসলি জমি পরিদর্শন করেছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি সাবেক যুবদল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমান।
মজিবুর রহমান সংবাদ কর্মীদের জানান অবৈধ বালু উত্তোলনে ষোলআনি, বড় কালিপুরা, তিন থেকে চারটি গ্রামের ফসলি জমি মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা জানা নেই। ধারণা করা হচ্ছে অবৈধ বালু উত্তোলনে কয়েকশতৎ বিঘা ফসলি জমি ধ্বংস হয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডিসি বরাবর জানানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান বর্তমানে দিনে বৈধ বালু উত্তোলন হলেও রাতে অবৈধ বালু উত্তোলন এখনো চালু আছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ জিন্নাহ এর আত্মীয় মিলনমিজি পরিবারের একাধিক সদস্যদের নিয়ে নয়ন, পিয়াস গ্রুপ রাতের আধারে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে। প্রতিপক্ষ মিলনমিজী জানান পূর্বের শত্রুতা জের ধরে মজিবুর রহমান গং চক্রটি বৃত্তিহীন অপপ্রচার করছে। রাতের আঁধারে বালু উত্তলনে মজিবর রহমান গংগের লোক জড়িত আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার জানান ষোলআনি এলাকায় মেঘনা নদীতে বৈধ বালু মহল সঠিক নিয়মের মধ্যে কাজ করছে কিনা , আমাদের নজরধারী আছে। রাতে বালু উত্তোলন হচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ৫ থেকে ৭ টি অভিযান করেছি। বালু উত্তোলনের ফলে ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমার বার্তা/মুকবুল হোসেন/এমই