দিনাজপুরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকায় ময়মনসিংহ-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন আত্নগোপনে ছিলেন। সাথে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাঁর অবস্থান শনাক্ত হলেও পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাঁকে ধরতে পারেনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য যে, এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন এবং পরাজিত হন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে দিনাজপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালুয়াডাঙ্গার প্রয়াত এম এ কুদ্দুসের বাড়িতে প্রবেশ করেন। ড্রয়িংরুমে থাকা আনোয়ারুল আবেদিন ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁরা ইন্টারনেট ঘেঁটে সাবেক এই এমপির পরিচয় নিশ্চিত হন।
এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা বিষয়টি দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এর মধ্যেই আনোয়ারুল আবেদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে জানতে পারে, এমপি সেখানে নেই। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আছেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ওই বাড়িতে সাবেক সংসদ সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।স্থানীয় কয়েকজন জানান, এতগুলো লোকের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালানো সহজ নয়। আনোয়ারুল আবেদীনকে পালাতে আশপাশের কয়েকজন লোক সহযোগিতা করেছেন। কোতোয়ালি থানা থেকে বালুয়াডাঙ্গার দূরত্ব সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার। পুলিশও আসতে দেরি করল, এখানেও একটা প্রশ্ন থেকে যায়।