ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামে গতকাল শনিবার বিকেলে দূর্গা রানী দাস (৩০) নামের এক গৃহবধু ইঁদুরের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের ফার্মাসিস্ট শ্যামল দাসের স্ত্রী দূর্গা রানী দাস ইঁদুরের ঔষধ খেয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে খবরটি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে নাসিরনগর উপজেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে, সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্গা রানী দাসের আত্মহত্যার ব্যাপারে জানতে চাইলে তার স্বামী ফার্মাসিস্ট শ্যামল দাস বলেন কোনো কারণ ছিল না, কোনো ঝগড়া ঝামেলা ছিল না আমাকে কিছু বললো ও না, তবুও কেন সে এমন করলো আমার বুঝে আসছে না। আমাদের তিন টি সন্তান রয়েছে তাদেরকে এতিম করে চলে গেলো? আমি এখন তাকে ছাড়া সন্তানদেরকে কিভাবে মানুষ করবো, কিভাবে থাকবো? এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া।
আজ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ময়নাতদন্ত শেষে দূর্গা দাসের লাশ তার বাড়ি ভলাকুটে আনা হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় এ ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় এখনো পর্যন্ত নাসিরনগর থানায় কোনো মামলা হয়নি।