
হাজারো মোটরসাইকেল শোডাউনে ফেনী ফিরলেন বিএনপি প্রার্থী ভিপি জয়নাল।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সীমান্তের দত্তসার দিঘি এলাকা থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়ি শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় ছাদখোলা গাড়িতে উঠে হাত নাড়িয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় শহরের সদর হাসপাতাল মোড় এলাকায় সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাকে মনোনয়ন দেয়ায় ৯৯ শতাংশ মানুষ খুশি হলেও এক শতাংশ চোর-ডাকাত নাখোশ হয়েছে। কিন্তু দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে অমান্য করার শক্তি কারো নেই। আমি মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে একসময়ে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচয় পাওয়া ফেনীকে কোনদিন ছেড়ে যাইনি। কথা দিচ্ছি, জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত ফেনীর মানুষের পাশে থাকব।
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, দলের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। দলীয় ঐক্যই পারে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে।
এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার, সদস্য সচিব নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাঈদুর রহমান জুয়েল, সদস্য সচিব এস এম কায়সার এলিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শোডাউনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তিনি (ভিপি জয়নাল) স্ব প্রণোদিত হয়ে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে শোডাউন দিয়েছে। এটির দায় আমাদের নয়, তবুও দলগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। দলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেন এমনটি করেছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারেন।
আমার বার্তা/এল/এমই

