২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হবে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। তবে ২০২৪ চাহিদা বাড়লেও ২০২৫ সাল নাগাদ তা কমে যাবে।
এর কারণ হিসেবে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় জীবাশ্ম জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী দেশ চীন ইলেকট্রিক গাড়ির (ইলেট্রিক ভেহিকেল-ইভি) উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ায় অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে আসবে।
যদিও ওপেকভুক্ত দেশ এবং রাশিয়া মিলে ওপেক+ দেশগুলো উৎপাদন কমিয়ে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে জোগান ঠিক রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ উৎপাদন বাড়াবে।
আইইএ জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর তেল উত্তোলন হ্রাস কমলে ২০২৫ সালে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল তেলে জোগান বাড়বে। এর মূল কারণ হলো চীনে এর চাহিদা কমে আসবে।
এ বিষয়ে মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যানি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৫ সালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসতে পারে।
ওপেক প্লাসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে বিশ্বে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দৈনিক চাহিদা গড়ে ৯ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল হতে পারে।
আইইএ-এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৫ সালে ওপেক+এর বাইরে থাকা দেশগুলোতে দৈনিক তেল উৎপাদন বাড়তে পারে গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, গায়ানা ও আর্জেন্টিনার মতো দেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমে যাওয়ার সম্ভাবনায় শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম ২ শতাংশের বেশি কমেছে।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম শুক্রবার আগের দিনের তুলনায় ১ ডলার ৫২ সেন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে।
সে হিসাবে ব্যারেল প্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭১ ডলার ৪ সেন্ট। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম শুক্রবার কমেছে আগের দিনের তুলনায় ১ ডলার ৬৮ সেন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এতে ব্যারেলপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৭ ডলার ২ সেন্ট। আগের সপ্তাহের তুলনায় ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম যথাক্রমে ৪ ও ৫ শতাংশ কমেছে।
ডাচ বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান রাবোব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ২০২৫ সালে বাজারে দৈনিক প্রায় ৭ লাখ ব্যারেল অতিরিক্ত সরবরাহ হতে পারে।
এর কারণ হিসেবে বলা হয়, তেলের দাম বৃদ্ধিতে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো এতদিন যে উৎপাদন হ্রাসের ধারায় ছিল, সেই ধারা থেকে তারা বেরিয়ে আসছে। এতে করে বাজারে সরবরাহ বাড়বে। কারণে দামও কমে আসবে।
আমার বার্তা/এমই