
চট্টগ্রাম বন্দরে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোর (অফডক) কার্যক্রম বন্ধের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ডিপোমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা)।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে কার্যক্রম বন্ধের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বিকডার প্রতিনিধিদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে বিকডার নেতারা জানান, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কর্মসূচি আপাতত এক মাসের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। এ সময় আমদানি–রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সবাই একমত হন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অফডকের মাশুল বা ট্যারিফ বাড়ানোর দাবিতে ডিপোমালিকেরা বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাদের অভিযোগ, বিদ্যমান চার্জে কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না, কিন্তু বহুবার আবেদন করেও মাশুল বাড়ানোর অনুমতি পাচ্ছেন না। ফলে ১১ ডিসেম্বর থেকে রফতানিপণ্য লোডিং বা খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধের ঘোষণা দেন তারা।
বিকডার তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছিল। গত নয় বছরে শ্রমিকদের মজুরি ও পরিচালন ব্যয় কয়েক দফা বাড়লেও ডিপোগুলোর ট্যারিফ অপরিবর্তিত রয়েছে। পুরোনো হারে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ায় আপাতত তাঁদের সিদ্ধান্ত ছিল অপারেশন বন্ধ করা।
বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে পণ্য জাহাজীকরণ ও এমটি কনটেইনার হ্যান্ডলিং পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ত। এতে তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী শিল্পখাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তো।
বর্তমানে ১৯টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বন্দরের শতভাগ রফতানিপণ্য, বড় অংশের খালি কনটেইনার এবং ৬৫ ধরনের আমদানিপণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে।
আমার বার্তা/জেএইচ

